ভারত বায়োটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এল্লা News18-এর কাছে বলেন যে, চলমান এই পরিস্থিতির উপর সক্রিয় ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। শুধু তা-ই নয়, এর মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত তারা। বদলে যাওয়া স্ট্রেনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি যে, আমাদের ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্মগুলি খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। আর পরিবর্তিত স্ট্রেনের মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত।
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিসিয়াল কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ড থেকে পাওয়া ১১ জুনের পরিসংখ্যান বলছে যে, ভারতে কোভিড ১৯-এর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭১২১ জন। সবথেকে বেশি রোগীর সন্ধান মিলেছে দিল্লি, গুজরাত, কেরল, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে। iNCOVACC নামে নেজাল ভ্যাকসিনের উপযোগিতা তুলে ধরে এল্লা News18-এর কাছে বলেন যে, তাঁদের সংস্থার ইন্ট্রানেজাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট প্রোটেকশন দেয়। ছুঁচ বা নিডল ছাড়া সহজেই তা নেওয়া যাবে। আর ছড়িয়ে পড়া জীবাণুর স্ট্রেনের মোকাবিলা করতে পারবে।
নিজের অবস্থানের উপর জোর দিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, পরিস্থিতির উপর সক্রিয় ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে কার্যকর ভাবে তা মোকাবিলা করার জন্যও তারা ভাল অবস্থানে রয়েছে। iNCOVACC নামে ভারতের প্রথম ইন্ট্রানেজাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আপাতত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোজ হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে। এর নিডল-ফ্রি ডিজাইন। প্রতিটি নাসারন্ধ্রে ড্রপ দেওয়া যাবে। ফলে নজরদারির জন্য আলাদা করে প্রশিক্ষিত পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন পড়বে না।
এল্লা নিশ্চিত করে জানান যে, ইঞ্জেক্টেবল এবং ইন্ট্রানেজাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্ম মোকাবিলা করতে সক্ষম। News18-এর সঙ্গে এক ই-মেল সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, যদিও উৎপাদন পুনরায় শুরু করাটা যে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি। যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, প্রস্তুতি সর্বদা ক্রমবর্ধমান বৈজ্ঞানিক এবং সুরক্ষা মানগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এখনও ভারতে বুস্টার নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি:
উচ্চ ঝুঁকির মুখে থাকা রোগী কিংবা দুর্বল রোগীদের জন্য বুস্টার ডোজের নির্দেশ দিয়েছে বেশ কিছু দেশ। যদিও ভারতে এখনও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তেমন কোনও নির্দেশ আসেনি। এল্লা স্পষ্ট করে বলেন যে, যদি জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশ আসে, তাহলেই কেবল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদন পুনরায় শুরু হবে। চাহিদা কম থাকার কারণে বিপুল পরিমাণে ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে বলেও জানান। তাঁর কথায়, ২০২২ সালের গোড়ার দিকে চাহিদা কমে যাওয়া এবং জারি করা ক্রয় আদেশ বাতিলকরণের কারণে COVAXIN টিকার উৎপাদন থমকে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে আমাদের প্রায় ২০ কোটি ডোজ বাল্ক এবং প্রায় ৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ধ্বংস করতে হয়েছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের তরফে News18-এর কাছে জানানো হয়েছে যে, কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, তবে তাতে ভয়ের কিছু নয়। এটা অনেকটা মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। এর জন্য এখনও ভ্যাকসিনেশনের প্রয়োজন নেই। তবে প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক।
