সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে সরকারকে লিখিত পরামর্শ দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ দাতা সংস্থা এনটিজিএআই। ক'দিন আগেই ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকাকে ৬-১২ বছর বয়সিদের জন্য প্রয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তবে, এখনও টিকাদান কর্মসূচি ঘোষণা হয়নি।
কমিটির একাংশের সুপারিশ, আগে শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা যাচাই করে তবে তাদের টিকা দান করা হোক।
advertisement
আরও পড়ুন : বাগদা চিংড়িতে জল ভরে বাড়ছে ওজন! মাছের আড়ৎগুলিতে যা চলছে রমরমিয়ে... চক্ষু চড়কগাছ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিশুদের করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, আগামিকাল, বুধবার বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটি। কমিটির খসড়া সুপারিশ হল - সবার আগে টিকা নিতে ইচ্ছুক শিশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হবে। তারপরেই তাদের টিকাকরণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও এই বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে। তবে, খুবই দ্রুতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনে কর্মরত পরামর্শদাতা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৫-৬ বছরের শিশুদের এখনই করোনার টিকাদান শুরু করা কতটা যুক্তিযুক্ত এবং নিরাপদ হবে, তা নিয়ে কমিটির মধ্যেই মতভেদ রয়েছে। যেহেতু ওমিক্রনের প্রভাবে নতুন করে ফের করোনা সংক্রমণের রেখাচিত্র ঊর্দ্ধগামী, সেই কারণে শিশুদের টিকা দেওয়ার আগে অ্যান্টিবডি যাচাই করা প্রয়োজন। তবে, সবদিক থেকে এখনও বিষয়টি আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে।
আগামিকাল বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুদের টিকাকরণ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রবীণদের জন্য চালু করা হয়েছে বুস্টার ডোজ। এবার ৫ বছরের ঊর্দ্ধে শিশুদের টিকাদানের চিন্তাভাবনা করছে মোদি সরকার।