বৈষ্ণব বলেছেন যে তাঁর দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। এই কথা বলার সময় রেলমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্নায় তাঁর স্বর বুঁজে আসে৷ দুর্ঘটনায় এখনও অবধি সরকারিভাবে ২৭৫ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে৷ একই সময়ে, ১০০০ -র বেশি আহত, যার মধ্যে ৫৬ জন আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন – Coromandel Express Accident: হায় কপাল, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ওঠা বাস চাইল ১০০০টাকা! তারপর
advertisement
ভারতীয় রেলওয়ে ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকের ত্রুটি এবং সিস্টেমের ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করেছে৷ বরং যে থিওরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে তাতে সম্ভাব্য ‘নাশকতা’ এবং ‘ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং’ সিস্টেমের সঙ্গে ট্যাম্পারিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে দুর্ঘটনার “মূল কারণ” শনাক্ত করা হয়েছে এবং এর জন্য দায়ী “অপরাধী”-কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রইল ভাইরাল ভিডিও
“এটি (দুর্ঘটনা) ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং এবং পয়েন্ট মেশিনে করা পরিবর্তনের কারণে ঘটেছে,” তিনি বালাসোর জেলার দুর্ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ট্যাম্পারিংয়ের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন যে সংকেত দেওয়া হয়েছিল এবং ট্রেনটি থামানো হয়েছিল। ১২৮৪১ (করমন্ডল এক্সপ্রেস) আপ মেইন লাইনের জন্য ডাইভার্ট করা হয়েছিল, কিন্তু ট্রেনটি আপ লুপ লাইনে প্রবেশ করে এবং লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্য ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং লাইনচ্যুত হয়। এদিকে ট্রেন নম্বর ১২৮৬৪ (বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস) ডাউন মেইন লাইনের মধ্য দিয়ে যায় এবং এর দুটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং উল্টে যায়।
আরও পড়ুন – Coromandel Express Accident: এই জেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ কোথায়, বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিচ্ছেন খোদ মন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডেল এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৭৫ জন নিহত এবং ১১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ রবিবার করমন্ডেল এক্সপ্রেসের চালককেও ক্লিনচিট দিয়েছিল, বলা হয়েছে যে- তার এগিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত ছিল এবং ট্রেনটি যতটা বেশি গতিতে চালানোর কথা ছিল তার চেয়ে বেশি গতিতে চালাচ্ছিল না। দুর্ঘটনার একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে করমন্ডল এক্সপ্রেস স্টেশনের লুপ লাইনে প্রবেশ করেছিল যেখানে লোহার আকরিক বোঝাই একটি পণ্য ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।