বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বালাসোরের কাছে উল্টে গেল ট্রেনটি। শুক্রবার নির্ধারিত সময়েই হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার ট্রেনগুলির মধ্যে করমণ্ডল এক্সপ্রেস অন্যতম জনপ্রিয়। আর সেই ট্রেনেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। আহত প্রায় হাজারের কাছাকাছি মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: করমণ্ডলের দুর্ঘটনায় আহতদের আনা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কোন হাসপাতালে? জানা গেল অবশেষে
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন “এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। রেলওয়ে সেফটিকে প্রথমে প্রাধান্য দেওয়া হবে। যারা আহত হয়েছেন তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে যাতে তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।” পাশাপাশি স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন “এই সাঙ্ঘাতিক দুর্ঘটনায় স্থানীয় মানুষ, স্থানীয় টিম ও অন্যান্য সকলে যারা সারা রাত দুর্ঘটনা কবলিত মানুষদের জন্য কাজ করেছে তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।”
আরও পড়ুন: করমণ্ডলের ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে বাতিল কোন কোন ট্রেন ? দেখে নিন
প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে মৃতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ২ লাখ টাকা এবং অল্প চোটআঘাত প্রাপ্তদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত এবং আহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৮। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে , উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। এখনও ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে থাকতে পারেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। গভীর রাতে ট্রেনের দরজা ভেঙে, গ্যাস কাটার দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। প্রতি মুহূর্তে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন।