ভূবনেশ্বর মিউনিসিপ্যালকর্পোরেশনের মেয়র সুলোচনা দাস শুক্রবার জানিয়েছে, “ভুবনেশ্বরের এইমস-এ রাখা ৮১টি মৃতদেহের মধ্যে ২৯টি ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। পাঁচটি পরিবার AIIMS-এ পৌঁছেছে। যে ২৯টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই ওড়িশার এবং অন্যরা পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “দিল্লির কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার থেকে ডিএনএ রিপোর্ট পেতে প্রায় ২০ দিন সময় লেগেছে। ৮১টি দেহ শনাক্ত করতে ৮৮টি ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছে।” প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২রা জুন ওড়িশার বালাসোর স্টেশনের কাছে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একইসঙ্গে। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী SMVP-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। এর মধ্যে সবথেকে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। প্রচুর যাত্রীর মৃত্যু হয়। মৃতদের একটা বড় অংশ ছিলেন এ রাজ্যের বাসিন্দাও।
advertisement
দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২৮৭ জনের। এর পরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও ৬ জনের। ফলে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা এখন ২৯৩। এর মধ্যে অন্তত ৮১ দেহ এতোদিন শনাক্ত করা যাচ্ছিল না বলে খবর।
আরও পড়ুন, মেয়াদ বাড়ল মুখ্যসচিবের, আরও ৬ মাস থাকছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী
আরও পড়ুন, অবশেষে ইডি দফতরে হাজিরা সায়নী ঘোষের, পৌঁছেই কী বললেন যুবনেত্রী?
অবশেষে ডিএনএ রিপোর্ট মেলায় ২৯টি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুবনেশ্বর মিউনিসিপ্যালকর্পোরেশনের মেয়র। দেহগুলি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে ওড়িশার বালাসোরে ২ জুন ট্রেন দুর্ঘটনার পর ৮১টি মৃতদেহের মধ্যে 29 টির পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। এইমসে রাখা হয়েছে এই মৃতদেহগুলি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রেন