শশী থারুরের নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা হতেই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়৷
শর্মিষ্ঠা একটি পোস্টে জানান, কংগ্রেসের তরফে যে ৪ জনের নাম সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব পদে পাঠানো হয়েছিল তাতে শশী থারুরের মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার নাম ছিল না৷ নাম ছিল না মণীশ তিওয়ারিরও৷
advertisement
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের তরফে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী আনন্দ শর্মা, লোকসভার সাংসদ গৌরব গগৈ, রাজ্যসভার সাংসদ সঈদ নাসের হুসেইন এবং লোকসভার সামসদ রাজা ব্রারের নাম পাঠানো হয়েছিল৷
বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের দাবি, বিদেশে প্রতিনিধি দলের জন্য যে নাম কংগ্রেসের তরফে যে নামগুলি পাঠানো হয়েছিল, সেগুলির যথেষ্ট সন্দেহজনক৷
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে তাঁর বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে শশী থারুরকে৷ এমনকি, দলের অন্দরেই নানা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে৷ সেই শশী থারুরই কি না বিশেষ দায়িত্ব পেলেন মোদি সরকারের কাছ থেকে৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বার্তাবহ হয়ে ৭ সদস্যের একটি দল পৌঁছবে বিশ্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশে৷ সেই দলেরই প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হল শশী থারুরকে৷
পহেলগাঁওয়ে ঠিক কী ঘটেছিল? এর পিছনে পাকিস্তানি মদতের অকাট্য সব প্রমাণ? কী কারণে ভারত এই ভাবে পাকিস্তান বিরোধী পদক্ষেপ করল, এ সমস্তই বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক কমিটির কাছে পৌঁছে দিতে চায় ভারত সরকার৷ সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছে ৭ সাংসদের ৭টি বিশেষ দল৷
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোশ্যাল মিডিয়া ‘X’-এ লেখেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভারতের ঐক্যবদ্ধ থাকাটা খুব জরুরি৷ সাত সদস্যের একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল খুব শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ দেশে যাবেন৷ ভারত সরকারের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির কথা তাঁরা পৌঁছে দেবেন দেশে দেশে৷ বিভাজনের ঊর্ধ্বে, রাজনীতির উর্ধ্বে এই একতা একটা জোরাল বার্তা৷’’
প্রতিটি দলে সাংসদরা ছাড়়াও থাকবেন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিকেরা৷
নেতৃত্বে থাকা সাংসদদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কংগ্রেসের শশী থারুরের নাম৷ তারপরে বিজেপির রবিশংকর প্রসাদ, জেডিইউ-র সঞ্জয় কুমার ঝা, বিজেপির বৈজয়ন্ত পাণ্ডা, ডিএমকে-র কানিমোঝি করুণানিধি, এনসিপি সুপ্রিয়া সুলে, শিবসেনার শ্রীকান্ত একনাথ শিণ্ডে৷
শশী থারুরের দলে থাকছেন এলজেপি-রামবিলাসের শাম্বভী চৌধুরী, ড. সরফরাজ আহমেদ (জেএমএম), গান্তি হরিশ মধুর বালাযোগী (টিডিপি), শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী (বিজেপি), ভুবনেশ্বর কালিতা (বিজেপি) এবং মিলিন্দ দেওরা (শিবসেনা)৷ দলে থাকবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রাক্তন অ্যাম্বাসেডর তারাণজিৎ সিং সান্ধু৷
থারুর লেখেন, ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীতে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করার এই আমন্ত্রণ পেয়ে আমি সম্মানীত৷ ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি পৌঁছে দেওয়া এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব৷ যখন দেশের স্বার্থ জড়িত, তখন আমি সবসময় থাকব৷’