গত ১৭ তারিখ দেশ জুড়ে কংগ্রেসের প্রায় ৯৯১৫ জন নেতা কর্মী নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে নিজেদের ভোট দিয়েছেন৷ সেই সমস্ত ব্যালট বাক্স দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে৷ আজ সকাল দশটা থেকে সেখানেই ভোট গ্রহণ শুরু হবে৷
আরও পড়ুন: সপ্তমবার বাড়ল নাগরিকত্ব আইনের বিধি তৈরির মেয়াদ! লোকসভা রাজ্যসভায় আবেদন মঞ্জুর
advertisement
তবে সভাপতির পদে বসার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রবীণ নেতা এবং গান্ধি পরিবারের আস্থাভাজন মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ আর এই বিষয়টিকে সামনে এনেই সমালোচকরা বলছেন, খাড়গে শেষ পর্যন্ত সভাপতি নির্বাচিত হলে দলের রিমোট কন্ট্রোল সেই গান্ধিদের হাতেই থাকবে৷
যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'এই সমস্ত অভিযোগ সমালোচকরা করছেন৷ দু' জন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷'
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে নতুন সমীকরণ? অন্ধেরিতে উদ্ধবপন্থী শিবসেনা প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছে না বিজেপি
প্রতিপক্ষ হলেও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি খাড়গে বা থারুর৷ যদিও শশী থারুর প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন, প্রচারে করতে গিয়ে দলের নেতাদের থেকে সেভাবে সহযোগিতা পাননি তিনি৷ থারুর নিজেও যে জয়ের বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নন, তাও তাঁর কথাতে স্পষ্ট৷
তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদের দাবি, তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ভোট পাবেন৷ যদিও তিনিই যে জিতবেন, এ কথা জোর গলায় বলতে পারেননি নানা বিতর্কে নাম জড়ানো কেরলের এই সাংসদ৷ কংগ্রেসের আর এক শীর্ষ নেতা পি চিদম্বরমও অভিযোগ করেছেন, থারুর দলের মধ্যে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁর সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত ভাবে নেতিবাচক প্রচার চালানো হয়েছে৷