চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে দিল্লির অভিজাত চাণক্যপুরী এলাকায়৷ যেখানে বহু বিদেশী দূতাবাস রয়েছে৷ ফলে এই এলাকার নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো৷ সেখানেই এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তামিলনাড়ুর মায়িলাদুথুরাইয়ের কংগ্রেস সাংসদ সুধা রামকৃষ্ণন৷
advertisement
দিল্লির আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে৷ তাই ঘটনার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ সুধা রামকৃষ্ণন৷ তাঁর দাবি অনুযায়ী, ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে তামিলনাড়ুর আরও এক সাংসদ ডিএমকের রজথীও ছিলেন৷ কংগ্রেস সাংসদেপ অভিযোগ অনুযায়ী, স্কুটারে করে এসে হেলমেট পরা এক দুষ্কৃতী তাঁর গলার চেন নিয়ে পালিয়ে যায়৷
অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, ‘সকাল ৬.১৫-৬.২০ নাগাদ আমরা পোল্যান্ড দূতাবাসের তিন এবং চার নম্বর গেটের কাছে ছিলাম৷ তখনই হঠাৎ মুখ ঢাকা হেলমেট পরিহিত এক যুবক স্কুটার নিয়ে উল্টো দিক থেকে আমাদের দিকে এগিয়ে এসে আচমকাই আমার গলায় থাকা সোনার চেন ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়৷’
কংগ্রেস সাংসদ আরও জানান, যেহেতু ওই স্কুটার আরোহী খুব ধীরে ধীরে আসছিল তাই প্রথমে তিনি কিছু সন্দেহ করেননি৷ গলায় থাকা চেন ধরে টান মারায় তাঁর গলায় আঘাতও লাগে বলে জানিয়েছেন সুধা রামকৃষ্ণন৷ তাঁর পরনের চুড়িদারও ছিঁড়ে যায়৷ পড়ে যেতে যেতে কোনওরকমে বাঁচেন তিনি৷ ঘটনার আকস্মিকতা কাটতেই চিৎকার করে সাহায্য চান ওই দুই সাংসদ৷ এর পর পুলিশের একটি মোবাইল পেট্রোল ভ্যান দেখে সেখানে গিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস সাংসদ আরও লিখেছেন, ‘চাণক্যপুরীর মতো কড়া নিরাপত্তায় মোড়া এলাকায় একজন মহিলা, যিনি আবার একজন সাংসদ, তাঁর উপরে এই হামলা হতচকিত করে দেওয়ার মতোই৷ একজন মহিলা যদিও এরকম কড়া নিরাপত্তায় মোড়া এলাকায় নিরাপদে হাঁটাচলা করতে না পারেন, তাহলে নিজেদের জীবন, হাত-পা এবং মূল্যবান সামগ্রী অক্ষত রেখে কোথায় গিয়ে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারব?’
তিনি যে এই হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, তা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কংগ্রেস সাংসদের আর্তি, তাঁর প্রায় তিরিশ গ্রাম ওজনের সোনার চেন উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্তকেও খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক৷