ক্ষমতা হারানোর মাত্র সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। পঞ্চায়েত ভোটে গোটা রাজ্য থেকেই কার্যত ধুয়ে- মুছে গেল বাম-কংগ্রেস। হাওড়া হোক বা দুই মেদিনীপুর কিংবা উত্তরবঙ্গ- সর্বত্রই একই দশা। ঘুরে দাঁড়ানোর বদলে এখন কার্যত অস্তিত্ব সংকটে বামেরা।
রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরও ছবিটা এরকম ছিল না। ২০১৩ সালে জেলা পরিষদে দলভিত্তিক ফলেই তা স্পষ্ট হবে
advertisement
জেলা পরিষদে আসন
দল ২০১৮ ২০১৩
--
তৃণমূল ০ ৫৩১
বামফ্রন্ট ০ ২১৩
কংগ্রেস ০ ৭৭
বিজেপি ০ ০
২০১৩ সালে জেলা পরিষদে শাসক দলের তুলনায় অর্ধেক আসন দখল করেছিল বাম-বিজেপি। কিন্তু এবার কার্যত খুঁজেই পাওয়া গেল না বামেদের। কংগ্রেসের অবস্থা আরও করুণ।
মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো কংগ্রেসের গড়েও গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ শতাংশ আসনও জোটেনি
দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলায় মুছে গিয়েছে বামেরা
বীরভূম, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুরের মতো জেলায় পঞ্চাশের বেশি আসন জোটেনি
ত্রিপুরা হোক কিংবা কেরল - বামশাসিত কোনও রাজ্যেই এ রকম বিপর্যয় কখনও ঘটেনি।
পঞ্চায়েতের ইতিহাসে এমন ফল দেখেনি কংগ্রেসও। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কৌশল বদল নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের।
যদিও বিপর্যয়ের দায় স্বীকারের পরিবর্তে দোষ চাপাতেই ব্যস্ত বাম-কংগ্রেস।
বাম ভোটের রামে যাওয়ার ঝোঁক অব্যাহত এই পঞ্চায়েত ভোটেও। উত্তর দিনাজপুরের জেলাতেও বাম-কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি জুগিয়েছে। ভবিষ্যতে কী তবে রাজ্যে রাজনৈতিক লড়াই বলতে শুধুই তৃণমূল বনাম বিজেপি?