ছত্তিসগড়ের কোরবা জেলার চন্দ্রনগর যাত্রাজ গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় কানকি রোড সংলগ্ন এলাকায় সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কাছেই থাকেন হিমাংশু ও তাঁর পরিবার। সোমবার রাতে তাঁদের বাড়িতেই দেখা মেলে এক ভয়ঙ্কর গোখরো সাপের। জানা গিয়েছে, ওই রাতে ঘুমিয়ে ছিল গোটা পরিবার। সেই সময় রান্নাঘরে ফ্রিজের মধ্যে ওঁত পেতে ছিল সাপটি। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে ঠান্ডা জলের খোঁজে গিয়েছিলেন হিমাংশু। তখনই ফ্রিজের তলা থেকে বেরিয়ে আসে সাপটি।
advertisement
ওই পরিবারের সদস্যরা অনেকেই গরমের কারণে রাতে উঠোনে চৌকি পেতে ঘুমোচ্ছিলেন। হিমাংশুও তাঁর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন। মাঝরাতে জল তেষ্টা পাওয়ায় তিনি ঘরের ভিতরে চলে যান। রান্নাঘরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে একটি ঠান্ডা জলের বোতল বের করে নেন। ফ্রিজের দরজা খোলা রেখেই নিজের গলায় জল ঢালছিলেন হিমাংশু। এমন সময় ফ্রিজের আলোয় দেখতে পান, নিচে কিছু একটা নড়াচড়া করছে।
হিমাংশু বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম ওটা টিকটিকির লেজ বোধহয়। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় ঘরের আলো জ্বেলে ভাল করে দেখতে যাই। আর তখনই ফুঁসে ওঠে ওই গোখরো সাপ।” ভয়ে হাড় হিম হয়ে যাওয়ার মতোই ঘটনা। একছুটে হিমাংশু বাড়ির সকলকে জাগিয়ে দেন। তারপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ টিম-কে। বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী দলকে জানান হয় ঘরের ভিতর রয়েছে বিষাক্ত সাপ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় এসে পৌঁছন সাপুড়ে জিতেন্দ্র সারথি। বেশ খানিকক্ষণের চেষ্টায় তিনি উদ্ধার করতে পারে ওই বিষধরকে।
আরও পড়ুন, ভাঙল কাচ, ফের আক্রান্ত নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
আরও পড়ুন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া নিয়ে চরম উত্তেজনা, বর্ধমানের ‘এখানে’ যা হল
জিতেন্দ্র জানান, ওটি গোখরো প্রজাতির অতিবিষধর সাপ। উদ্ধার করে সেটিকে বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হয়। জিতেন্দ্র বলেন, “রাতে সকলেই একটু সতর্ক থাকবেন। ঘরে কোনও সাপ বা অন্য বুনো প্রাণী ঢুকলে তাদের বিরক্ত না করে উদ্ধারকারী দলকে খবর দেবেন।”