রাজস্থান সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী আজ আজমের শরিফ ও পুষ্কর আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই সফরের জন্য বিশেষ রুট তৈরি করেছে গেহলট প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের পুরোটাই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজস্থান পুলিশের বিশেষ টিম। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করতে কলকাতা থেকে পুষ্করে পৌঁছে গিয়েছেন ৫ আধিকারিক। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে নেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী আজমের শরিফ ও পুষ্কর দু'জায়গাতেই যাবেন তিনি।
advertisement
আজমের শরিফে খোয়াজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় গত প্রায় ৮০০ বছর ধরে চাদর চড়ান হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ। সেই সুফি ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আজমের শরিফের দরগায় রাজনীতিকরাও বিভিন্ন সময়ে চাদর চড়িয়েছেন। বিশেষ করে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির নামে সেখানে প্রতি বছরই চাদর চড়ানো হয়। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আজ পৌঁছবেন সেখানে।
আরও পড়ুন : রাজস্থানের পুষ্করের মন্দিরে আজ দুপুরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজমের শরিফের অনতিদূরেই পুষ্কর। বলা হয়, সারা পৃথিবীতে একমাত্র পুষ্করেই রয়েছে ব্রহ্মার মন্দির। পুষ্করের হ্রদের সামনে গিয়েও প্রার্থনা করেন পুণ্যার্থীরা। আজমের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুষ্করেও আসবেন।মুখ্যমন্ত্রীর ব্রহ্মামন্দির দর্শনের সময় তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্দির চত্বর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন : শীতের পাহাড়ে রাজনীতির উত্তাপ, জানুয়ারিতে পাহাড়ে শুভেন্দু-মমতা
তাঁর নিরাপত্তায় গেহলত সরকার যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে তাকে বিরল রাজনৈতিক সৌজন্য হিসেবেই দেখছে রাজস্থান প্রশাসনের একাংশ। সূত্রের খবর, আজমেরের কাছে কিষাণগড় বিমানবন্দরে নেমে আজমের শরিফ ও পুষ্করের উদ্দেশ্য সড়কপথে রওনা হবেন তিনি। ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম এসে পৌঁছে গিয়েছেন আজমেরে।