গত বুধবারই তিনি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতেরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন তিনি। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পীযুষ গোয়েল।
আরও পড়ুন: 'মিড ডে মিল'-এর টাকা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সফর! ট্যুইটে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
পাঞ্জাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এর আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং কংগ্রেস ভেঙে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সুনীল জাখরও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ বার মনপ্রীত। মনপ্রীতের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পিছনে অমরিন্দরের হাত রয়েছে বলে কংগ্রেস মনে করছে। কারণ অমরিন্দর মনে করতেন, তাঁর পরে মনপ্রীত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য।
advertisement
অকালি দলের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপি পাঞ্জাবে এক জন জাঠ শিখ নেতার খোঁজে ছিল। দিল্লিতে পীযূষ গোয়েলের হাত ধরে মনপ্রীতের যোগদানের পরে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, মনপ্রীতই তাঁদের সেই জাঠ শিখ মুখ হয়ে উঠতে পারেন। কারণ তিনি উচ্চশিক্ষিত। পঞ্জাবি, হিন্দির সঙ্গে ইংরেজি, উর্দুতেও চোস্ত। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন: রাস্তার দোকানে চা বানালেন মহুয়া মৈত্র, ক্য়াপশনে ঠুকলেন কাকে? দেখুন ভিডিও
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন মনপ্রীত। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ২০২২ সালের পাঞ্জাব নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। তারপরেই ২০২৩ সালের গোড়াতেই হাতের হাত ছেড়ে তিনি যোগ দিলেন বিজেপিতে।
দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে মনপ্রীতের মুখে। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি অলস ভাবে বসে থাকতে পারেন না। ভাবতে হবে এই সুবর্ণ সময়ে পাঞ্জাব কী কী লাভ করতে পারে। উল্লেখ্য, রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে এই মুহূর্তে চর্চা তুঙ্গে। রাহুল এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসকে ভারতব্যাপী জুড়তে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন চারদিকে। অন্যদিকে, রাহুলের যাত্রা পাঞ্জাব পৌঁছতেই কংগ্রেসকে ধাক্কা দিতে বিজেপির এই মোক্ষম চাল পঞ্জাবের মতো রাজ্যে। এখন এই চাল গেরুয়া শিবিরকে কতটা সুবিধা এনে দেয় তা সময়ই বলবে।
রাজীব চক্রবর্তী