সেরিমোনিয়াল বেঞ্চের আইনজীবীরা এদিন বিদায়ী প্রধান বিচারপতিকে সম্বোধন করেন, স্মরণ করেন বিচার বিভাগে তাঁর অবদানের কথা। ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি এবং কপিল সিব্বলও। সিংভি-সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রসিকতাও করেন এদিন। মজার ছলে প্রধান বিচারপতিকে বলেন, “আপনার যৌবনের রহস্য আমাদেরও জানান।”
advertisement
এদিন কর্মজীবনের শুরুর দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘তরুণ বয়সে এই আদালতে আসতাম। খুঁটিয়ে দেখতাম এই আদালত আর আদালতের এই দুটো পোট্রেট।’’ সঙ্গে যোগ করেন, “রাতে ভাবছিলাম, দুপুর ২ টোয় আদালত খালি হয়ে যাবে, আমি নিজেকে স্ক্রিনে দেখব। আপনাদের সবার উপস্থিতিতে আমি অভিভূত। আমরা এখানে তীর্থযাত্রীর মতো এসেছি। পাখির মতো অল্প সময়ের জন্য। আমরা কাজ করি, তারপর চলে যাই।…বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর কতরকমের মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখবেন।”
সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে সঞ্জীব খান্নার নাম সুপারিশ করেছেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিনের বিদায়ী ভাষণে তাঁর কথাও বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কথায়, “আমি জানি, আমার পরে যিনি আসবেন তিনি অত্যন্ত স্থিতধী, দৃঢ় - বিচারপতি খান্না, অত্যন্ত সম্মানিত, আদালত নিয়ে সচেতন এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গীতে সমৃদ্ধ ব্যক্তি।”
আরও পড়ুন- শাশুড়িকে খুন, খুব খুশি বউমা ! পুলিশ এসে ধরতেই সামনে এল আসল ঘটনা, আতঙ্কে পরিবারের সদস্যরা
বিচারব্যবস্থা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিদায়ী ভাষণে এ কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি। সেরিমোনিয়াল বেঞ্চে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই তিনি যতটা সম্ভব মামলা শুনতে চান, যা তাঁর বিচার জীবনের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখবে। তিনি বলেন, “গতকাল যখন আদালতের কর্মীরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সেরিমোনিয়াল বেঞ্চ কখন তালিকাভুক্ত হবে, তখন তাঁদের বলেছিলাম, যত বেশি সম্ভব মামলা শুনব…শেষ সময় পর্যন্ত ন্যায়বিচার করতে চাই।”
বিদায় নেওয়ার আগে তিনি বলেন, “এই আদালতই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাকে চালনা করে। এমন মানুষদের সঙ্গে অহরহ দেখা হয়, যাঁদের চিনিই না। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। বুঝেছি, কোনও মামলাই আগের মামলার মতো নয়। যদি কখনও আঘাত দিয়ে থাকি ক্ষমা করবেন। বিপুল উপস্থিতির জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।” এদিন বিদায়ী প্রধান বিচারপতির প্রশংসা করে বর্ষীয়াণ আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, “অসীম ধৈর্য”। প্রধান বিচারপতির “নিরপেক্ষতা”- এর কথা স্মরণ করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।