লাদাখ সীমান্ত সংঘাত নিয়ে দেশব্যাপী উত্তেজনার পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই গত ৪ সেপ্টেম্বর গায়েব হন অরুণাচলের পাঁচ যুবক। যে পাঁচজন অপহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের নাম তোচ সিংকাম, প্রসাত রিংলিং, ডংটু এবিয়া, তানুবেকার এবং এনগুরু দিরি৷ ম্যাকমোহন লাইন সংলগ্ন সুবর্ণসিড়ি জেলার নাচো সার্কেল এলাকার বাসিন্দা ওই পাঁচ যুবক। তাঁরা সকলেই তাজিন সম্প্রদায়ভুক্ত।ভারতীয় সেনার মালবাহক হিসেবে কাজ করত।
advertisement
তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, শুক্রবার আপার সুবর্ণসিড়ি জেলার নাচোয় ভারত-চিন সীমান্ত থেকে পাঁচ জন স্থানীয় যুবককে অপহরণ করেছে চিনা সেনা৷ এই পাঁচ যুবকই জঙ্গলে শিকারে গিয়েছিলেন বলে তাঁদের পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন৷ ওই দলে থাকা বাকি দু' জন কোনও ক্রমে পালিয়ে এসে পুলিশকে ঘটনার কথা জানান৷
ঘটনার কথা সামনে আসতে, প্রথমে গুরুত্বই দিতে চায়নি চিন। বরং তারা বলে, অরুণাচলের অস্তিত্বই তারা স্বীকার করে না। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বেজিংয়ে দাবি করেন, 'চিনের পূর্বভাগে ভারত-চিনসীমান্ত এবং চিনের দক্ষিণ অংশে তিব্বত নিয়ে আমাদের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট এবং ধারাবাহিক৷ চিন কোনওদিনই চিনা ভূখণ্ডকে বেআইনি ভাবে দখল করে গড়ে ওঠা অরুণাচল প্রদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি৷'
কিন্তু ভারত চাপ বাড়াতে থাকায় এক সময়ে নতি স্বীকার করে চিন। ট্যুইটারে কিরেণ রিজিজু জানান, 'হটলাইনে ভারতীয় সেনার পাঠানো বার্তার জবাব দিয়েছে চিনের সেনাবাহিনী৷ অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা পাঁচ জন নিখোঁজ যুবকের খোঁজ পেয়েছে তাঁরা৷ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে কীভাবে তাঁদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে৷'
অবশেষে দশ দিনের মাথায় মুক্তি পাচ্ছেন ওই পাঁচ যুবক।
প্রসঙ্গত এই প্রথম নয়। মার্চ মাসেও আসাপিলা সেক্টর থেকে ২১ বছর বয়সি এক যুবককে অপহরণ করে পিএলএ। ১৯ দিন পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাকে।