ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “গত ছয় মাস ধরে আমরা যে পরিস্থিতি দেখছি, তা চিনের কার্যকলাপেরই ফল। পূর্ব লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এ ওরা একতরফা পরিবর্তন চায়।”
তিনি আরও বলেন যে, “চিনের এই কার্যকলাপ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং ইন্দো-চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি রক্ষার বিরোধী।”
এর আগে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেই ভারতকে দোষারোপ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই শ্রীবাস্তব একথা বলেছেন।তাঁর ভাষায়, “মূল বিষয় হল, ভারত এবং চিন, দু’তরফ থেকেই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং প্রটোকল কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত। এর মধ্যে পড়ছে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে হওয়া শান্তিচুক্তি, যাতে স্পষ্ট রয়েছে বর্ডার এলাকায় শান্তি বজায় রাখার ইস্যু। এই চুক্তি অনুযায়ি, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল-এর মর্যাদা বজায় রেখে এই এলাকায় কোনও পক্ষেরই সেনাবাহিনী নিয়ে আসা উচিত নয়।”
advertisement
গত জুন মাস থেকেই এলএসি বর্ডার এলাকায় চলছে দু’পক্ষের লড়াই। চিনের সৈন্যদের আক্রমণে প্রাণ হারায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। ভারতীয় কর্মকর্তারা সে সময় বলেছেন, চিনের সৈন্যদল বর্ডারের প্রত্যন্ত উপত্যকা অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে। অন্যদিকে চিনের তরফ থেকে বলা হয়, ভারতীয় সেনারা চিনের সৈন্যদের উত্তেজিত করেছে।
এরপর থেকে, এই দুই প্রতিবেশী দেশ, লাদাখে এবং চিনের তিব্বত সীমান্তে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। ফলে সংঘাতের ঝুঁকি রয়েই গিয়েছে।
Antara Dey