ইয়ারলুং জ্যাংবো নদীর নিম্ন প্রবাহে অবস্থিত এই বাঁধ বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে, যা ২০২০ সালে পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অফ চায়নার দেওয়া একটি অনুমানের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্রিসমাসের ভরা বাজারে গাড়ি নিয়ে হামলা! মৃত পাঁচ, আহত ২০০-এর বেশি, তালিকায় ৭ ভারতীয়ও
এটি বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম থ্রি গর্জেস ড্যামের ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা পরিকল্পিত ক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। থ্রি গর্জেস ড্যামটি চীনের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত।
advertisement
এই প্রকল্পটি চীনের কার্বনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পকে উদ্দীপিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।
আরও পড়ুন: ৭১-এ তাড়ানো হয়েছিল, ৫৩ বছর পর সেই পাকিস্তান থেকেই মাস্টার আসছে বাংলাদেশ আর্মির ক্লাস নিতে!
ইয়ারলুং জ্যাংবো নদীর একটি অংশ মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে নাটকীয়ভাবে ২০০০ মিটার (৬,৫৬১ ফুট) নিচে নেমে গেছে৷ বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ এবং প্রকৌশল ব্যয় থ্রি গর্জেস ড্যামের ব্যয়কেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। থ্রি গর্জেস ড্যামের ব্যয় ছিল ২৫৪.২ বিলিয়ন ইউয়ান ($৩৪.৮৩ বিলিয়ন), যার মধ্যে ১.৪ মিলিয়ন স্থানীয় মানুষকে পুনর্বাসনের ব্যয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিব্বত প্রকল্পটি কতজন মানুষকে স্থানচ্যুত করবে এবং এটি স্থানীয় পরিবেশে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনও কর্তৃপক্ষ জানায়নি। তবে, চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন যে তিব্বতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, যা চীনের এক-তৃতীয়াংশ জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা ধারণ করে, পরিবেশ বা নিচের দিকে জল সরবরাহের উপর বড় প্রভাব ফেলবে না।
তবুও ভারত এবং বাংলাদেশ এই প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি স্থানীয় বাস্তুসংস্থান এবং নদীর প্রবাহ ও গতিপথকে বদলে দিতে পারে।