এর পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কার্যালয় এবং কেন্দ্রীয় অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রী কিনজারাপু রামমোহনকেও এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এই অবস্থায় এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে একটি প্রতিনিধি দল প্রয়োজনীয় সমীক্ষার জন্য কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এবং তারা এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন। সেখানে আধিকারিকগণ মুখ্যমন্ত্রীকে কৈলাশহর বিমানবন্দর চালু করা সম্পর্কে বিশদভাবে অবহিত করেন।
advertisement
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রিজিওন্যাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাজা কিশোর এবং আগরতলা এমবিবি এয়ারপোর্টের ডিরেক্টর কে সি মীনা।স্থানের অভাবে ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) এর ৬ জনের একটি দল UDAN আঞ্চলিক সংযোগপ্রকল্পের (RCS) অধীনে বিমানবন্দরে কার্যক্রম সহজতর করার লক্ষ্যে বিমানবন্দরটি শীঘ্রই শুরু করার জন্য একটি জরিপ পরিচালনা করে।
২০২৩ সালের আগস্টে, ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করে এবং এটিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব দেয়। সংস্কারের মধ্যে বিমানবন্দরের উত্তর অংশে ৭০০ মিটার জমি অধিগ্রহণ করে বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এই বিমানবন্দরে কোনও নির্ধারিত বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা নেই।
এই এলাকা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটা জায়গা। সারা বছর উনকোটি আসেন মানুষ। এছাড়া কাছেই সীমান্ত রয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দর।