উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রক্ত এবং জলের কোনও ধর্ম হয় না। সমাজ জীবনেও আমাদের প্রত্যেকের এই দর্শন নিয়ে চলা উচিত। সামাজিক কাজ করতে গিয়ে কোন ধর্ম হয় না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান যা-ই হোক না কেন আমাদের পরিচয় মানুষ। সকলের যার যার ধর্ম আছে। কিন্তু সকলের উপরে মানুষের কর্ম। কাজের মাধ্যমে মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। রক্তের ক্ষেত্রেও ধর্মের কোনও প্রকার বিভেদ আসে না। রক্ত গ্রহীতার মধ্যে কখনও রক্তের শ্রেণী বিন্যাস আসে না। কারণ রক্ত রক্তই।’’
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় মুর্শিদাবাদে ১৭৫টি আসনে ফের নির্বাচন! ভোটারদের লাইন চোখে পড়ার মতো
আরও পড়ুন: রেলপথে চোরাই কারবার! আরপিএফ-এর হাতে এল ২৮ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ সামগ্রী! গ্রেফতার ১৮
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন মানুষের জন্য কাজ করো। প্রতিটা মানুষের জন্য কাজ করো। এর সঙ্গে রাজনীতি কী? মানুষের সমস্যা নিরসনে কাজ করব। এর সঙ্গে রাজনীতি কী? তাই রক্তের মধ্যেও কোনও পার্টি বা রাজনীতি হয় না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি ও পরম্পরার বাহক হিসেবে এই সামাজিক কর্মসূচি করছে এই ক্লাব। আমাদের শরীরে থাকা রক্ত ভগবানের দেওয়া উপহার। আর এই উপহার আমরা অন্যজনের প্রয়োজনে দান করছি। এর থেকে বড় উপহার আর হয় না। মানুষের চরিত্রের সঙ্গে রক্তের একটা সম্পর্ক রয়েছে। রক্তদান করতে হলেও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ সবল থাকতে হবে।’’