এই দিন তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দেশজুড়ে পূর্বাশার যে সমস্ত দোকান রয়েছে সেগুলির মাধ্যমে ত্রিপুরার হস্তশিল্প প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই জন্য রাজ্যের নিজস্ব উৎপাদিত হস্ততাঁত সামগ্রী ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি পূর্বাশা পরিদর্শনে গিয়ে ত্রিপুরাবাসীদের ‘স্বসহায়ক গ্রুপ’এর মা বোনদের তৈরি সামগ্রী ক্রয় করার আহ্বান দিলেন।
advertisement
জাতীয় হস্ততাঁত দিবস উপলক্ষে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘‘৭ আগস্ট স্বদেশী আন্দোলনের জন্য এক বিশেষ দিন। আমরা সকলেই জানি জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী আজকের দিনেই স্বদেশী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।’’
‘‘একে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে আজকের দিনটিকে হস্ততাঁত দিবস হিসেবে পালন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোক্যাল ফর লোক্যাল’ অর্থাৎ আমাদের উৎপাদিত পণ্য যাতে আমরা ব্যবহার করি সেই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। এত বছর ধরে এই রীতি-ই চলে আসছে। আজ জাতীয় হস্ততাঁত দিবস উপলক্ষে আগরতলার পূর্বাশায় আসি। এখানে এসে অনেক কিছু দেখলাম। আগেও কয়েকবার এখানে আসি।’’
আজকের বিশেষ দিনটি বাদেও যাতে অন্যান্য দিনও সবাই পূর্বাশায় এসে হস্ততাঁত সামগ্রী ক্রয় করেন তার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আহ্বান রাখেন মানিক সাহা।
বিশেষ করে স্বসহায়ক গ্রুপের মা বোন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ক্রয় করার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। তিনি পূর্বাশায় উৎপাদিত হস্ততাঁত সামগ্রীর গুণগত মানের প্রশংসাও করলেন।
এর পাশাপাশি জাতীয় হস্ততাঁত দিবস উপলক্ষে সমস্ত ত্রিপুরাবাসীকে শুভেচ্ছা জানানমানিক সাহা। এই দিন পূর্বাশা পরিদর্শন কালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পূর্বাশার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক কিশোর বর্মণ-সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ। সেখানে নিজস্ব উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী সরেজমিনে চাক্ষুষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।