advertisement
যে ক্যাম্পে এই কাণ্ড ঘটেছে সেটি রাজধানী রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে মারাইগুদা পুলিশ স্টেশনের অধীনে লিঙ্গনপল্লী গ্রামে অবস্থিত। সিআরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিজের সার্ভিস রাইফেল একে ৪৭ দিয়ে সহকর্মীর উপর গুলি চালিয়েছেন রীতেশ রঞ্জন নামে ওই জওয়ান। গুলিচালনায় সাতজন গুরুতর আহত হন। তাঁদেরকে দ্রুত ভদ্রচালেমের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুকমার এই সিআরপিএফ ক্যাম্পে।
আরও পড়ুন: রামপুরে পাক-প্রীতি? বিশ্বকাপের ম্যাচের পরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে বেনজির ব্যবস্থা স্বামীর!
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিম! কম্পন দার্জিলিং,কার্শিয়াং, শিলিগুড়িতেও...
রাজ্যের বস্তার অঞ্চলের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি আজ বলেছেন, ঝামেলার মাঝেই সহকর্মীদের দিকে এলোপাথাড়ি গুলি চালান অভিযুক্ত জওয়ান। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন চার জন। সেই সঙ্গে গুলির আঘাতে গুরুতর জখম হন আরও তিন জন জওয়ান। আহতদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কী কারণে আচমকা এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখনও সিআরপিএফ আধিকারিকদের থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিআরপিএফ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন ক্যাম্পের জওয়ানরা। আচমকাই তাঁরা গুলির শব্দ শুনতে পান। দেখা যায়, এক জওয়ান সহকর্মীদের লক্ষ্য করে নিজের বন্দুক থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে। মানসিক অবসাদ থেকে ওই জওয়ানের এই কাজ, নাকি এমন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে সিআরপিএফ।