প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি কয়েক মাস আগের হলেও সম্প্রতি তা সামনে এসেছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বনদফতর পুরো বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশীতে এই ৫ ধরনের মানুষের মৃতদেহ কখনও পোড়ানো হয় না! শ্মশান থেকে ফিরে আসে দেহ, ফাঁস সেই রহস্য…
advertisement
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভাল্লুকটির পায়ের দিকটি স্টিলের তার দিয়ে একটি কাঠের তক্তায় বেঁধে রাখা হয়েছে। এক ব্যক্তি পিছন থেকে ভাল্লুকের কান টেনে ধরছে এবং ভাল্লুকটি যন্ত্রণায় কাঁপতে কাঁপতে মুখ থেকে রক্ত ঝরাচ্ছে। অপর একজন ভাল্লুকটির মাথায় একের পর এক আঘাত করছে।
এরপর আরও নৃশংস দৃশ্য দেখা যায়—ভাল্লুকটির নখ একে একে উপড়ে ফেলা হচ্ছে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ভাল্লুকটিকে লাঠি দিয়ে একাধিকবার মারা হয়। এমনকি তার মুখ পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। মুখ দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল, এই বর্বরতা দেখতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহিলারা, শিশুরা ও অন্যান্য গ্রামবাসীরা—তারা কেউ কেউ হেসে আনন্দও করছিল বলে ভিডিওতে দেখা গেছে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বনদফতর অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে একটি পুরস্কার ঘোষণা করেছে। অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এবং যে কেউ তাদের সম্পর্কে তথ্য দিলে তাকে ₹১০,০০০ পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ছত্তিশগড়ের মুখ্য বন সংরক্ষক আর সি দুগ্গা জানিয়েছেন, “ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে, আমরা তাদের পরিচয় এবং অবস্থান শনাক্ত করব। এরপর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ১৯৭২ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অপরাধের জন্য দুই বছর থেকে আজীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থাও রয়েছে। অপরাধীরা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না।”