অতিমারির এই ভয়ঙ্কর সময় বহু মানুষ নিজের পরিবার ছেড়ে আক্রান্তদের সাহায্যে নিঃশর্তভাবে কাজ করে চলেছেন ৷ তেমনই ছিলেন আরিফ খান ৷ গত ৬ মাসে নিজের প্রিয়জনদের ভুলে সংক্রমণে আক্রান্ত মানুষগুলির জন্যই কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করে গিয়েছেন দিল্লির এই অ্যাম্বুলেন্স চালক ৷ সিলামপুরের বাসিন্দা আরিফ প্রায় ২০০ জন করোনাভাইরাস রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর পরে শেষকৃত্যের কাজও করেছেন তিনিই ৷ নিজে মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলেও হিন্দুদের দাহ সৎকারের কাজও করেছেন তিনি ৷ ২৪ ঘণ্টা করোনা রোগীদের পাশে থাকতেন । শেষ পর্যন্ত সেই করোনা সংক্রমণই কেড়ে নিল তার প্রাণ ৷
advertisement
২ অক্টোবর আরিফের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তিনি তাঁর কোভিড পরীক্ষা করান, যা পজিটিভ আসে। এর পরে, ১০ অক্টোবর তাকে দিল্লির হিন্দু রাও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেদিনই মৃত্যু হয় এই সহৃদয় মানুষটির ৷ তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত সকলেই ৷
আরিফ ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ৷ বেতন ছিল ১৬ হাজার টাকা। তার বাড়ির মাসিক ভাড়া ৯হাজার টাকা। তাঁর অকাল প্রয়াণে দুই মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে অথৈ জলে পড়ে আরিফের বিধবা স্ত্রী ৷ তাঁদের কথা জানতে পেরে সাহায্যে এগিয়ে আসেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ সাহায্যের টাকার চেক শনিবারই আরিফের বাড়ি গিয়ে তাঁর বিধবা স্ত্রী সুলতানা আরিফের হাতে তুলে দেন জেলাশাসক শাহদারা ৷