কউরি পেরিয়ে যেতে হয় দুগগাতে। আর এই সব জনপদের একাধিক স্থানে এমন কতগুলি স্থান আছে যা পর্যটকদের কাছে আগামী দিনে অত্যন্ত আর্কষণীয় হতে পারে। প্রথমত কউরিতে ভারতীয় রেলের, নর্দান ডিভিশনের তরফে একটি গেস্ট হাউজ তৈরি করা আছে। আপাতত এই জায়গা ব্যবহার করেন চেনাব রেল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি চেনাব যা চন্দ্রভাগা নদী নামেও পরিচিত, তার পাশে রয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের একাধিক ঘর।
advertisement
চেনাব সেতু, ভারতীয় রেলের হাতে তুলে দেওয়ার পরে এই সব জায়গা ফাঁকা হয়ে যাবে। আর এই সব পরিকাঠামোকে ব্যবহার করেই ভারতীয় রেল চাইছে এখানে পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা করা হোক। নর্দান রেলের চিফ অ্যাডমিন অফিসার সুরিন্দর পাল মাহি জানিয়েছেন, “নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের তরফে আমাদের কাছে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এই প্রস্তাবও আছে। এই গোটা যাত্রা পথটাই একটা দারুণ রোমাঞ্চকর ব্যাপার। সেখানে অবশ্যই আমরা আমাদের তরফ থেকে দেখব। এই গোটা প্রকল্পের বিষয়ে জম্মু প্রশাসনও জানে। তাই আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব।”
আরও পড়ুন, ‘মা ভারতী আবার জেগে উঠেছেন…’ স্বাধীনতা দিবসে ‘মণিপুর হিংসা’ নিয়ে বার্তা মোদির
আরও পড়ুন, ‘আমাকে হস্টেলে ঢুকতেই দেয় না ছাত্ররা’, তদন্ত কমিটির সামনে বিস্ফোরক হস্টেল সুপার
নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, গিরিধর রাজাগোপাল জানিয়েছেন, “আমরা সেতুর কাজ করেছি। আমরা একাধিক প্রস্তাব দিয়েছি।” সূত্রের খবর, চেনাব রেল সেতুর কাছে একটা রেল মিউজিয়াম বানানো। একটা ক্যাফেটেরিয়া। আর এই পরিকাঠামো ব্যবহার করে যদি গেস্ট হাউজ বা রিসর্ট বানানো যেতে পারে। ফলে যারা বৈষ্ণোদেবী আসেন। তারা সহজেই সেখান থেকে চেনাব চলে আসতে পারবেন। এর ফলে একদিকে যেমন এলাকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলাবে। তেমনি একটা রেলসেতুকে কেন্দ্র করে নয়া পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে।