প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত সাতজনের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। শ্বাসকষ্ট ও বুকে তীব্র ব্যথার কারণে তাদের গ্যাডাগ ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (GIMS)-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজন লক্ষ্মেশ্বরের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: হোলির আনন্দে বদলে গেল শোক-এ! নদীতে স্নান করতে গিয়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু, জানুন…
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তদের পরিবার দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছায় এবং পুলিশের কাছে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাতজন ছাত্রী পরীক্ষার জন্য স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সুবর্ণগিরি টান্ডা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল।
advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল দুর্বৃত্ত মোটরবাইকে চেপে এসে প্রথমে বাসস্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়ায়। এরপর আচমকা ছাত্রীদের লক্ষ্য করে রং ছুঁড়তে শুরু করে। এ সময় তাদের স্কুল বাস এসে যায়, ফলে ছাত্রীরা দ্রুত বাসে উঠে পড়ে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা এখানেই থেমে থাকেনি! তারা বাইকে করে বাসের পিছু নেয় এবং বাসে উঠে বিশেষভাবে ওই সাত ছাত্রীর ওপর রাসায়নিক মিশ্রিত রং ছুড়ে দেয়।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে, দুর্বৃত্তরা যে রাসায়নিক মিশ্রিত রং ব্যবহার করেছিল, তার মধ্যে গোবর, ডিম, ফিনল এবং কৃত্রিম রং মেশানো ছিল। আক্রান্ত ছাত্রীরা অনিচ্ছাকৃতভাবে এই বিষাক্ত মিশ্রণের কিছু অংশ গিলে ফেলে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে থাকে। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আক্রান্ত ছাত্রীরা প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিল এবং তাদের বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল। ঘটনা জানার পর পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দ্রুত হাসপাতালে যান এবং অভিভাবকদের আশ্বাস দেন যে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হোলিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! কনস্টেবল-হোমগার্ডসহ ৩ জনকে পিষে দিল দ্রুত গতির গাড়ি
দুর্বৃত্তরা মোটরবাইকে চেপে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তবে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল বাসের অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য সামনে আসতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি, তবে পুলিশ জোরকদমে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনা শুধু গ্যাডাগ নয়, পুরো রাজ্যজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। ছাত্রীরা কি অপরাধ করেছিল যে, তাদের এমন নির্মম পরিস্থিতির শিকার হতে হলো? পুলিশ কবে নাগাদ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছে গোটা দেশ।