এই মামলায় দুটি পৃথক পৃথক আবেদন করেছিলেন বিবাদমান স্বামী এবং স্ত্রী৷৷ স্বামী নিম্ন আদালতের খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন৷ অন্যদিকে হাইকোর্টে আবেদন করে খোরপোষের পরিমাণ বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছিলেন স্ত্রী৷
আরও পড়ুন: বাড়ির সামনে রাস্তায় পড়ে প্রৌঢ় দম্পতির গলাকাটা দেহ, উধাও ছেলে! সাতসকালে শিউরে উঠল মেমারি
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয়৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর উপরে মানসিক নির্যাতন করছেন, এই অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের মার্চ মাসে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন ওই তরুণী৷ রায়পুরের পারিবারিক আদালতে আর্জি জানিয়ে স্বামীর থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা করে খোরপোষ দাবি করেন তিনি৷ স্ত্রী দাবি করেন, স্বামীর সরকারি চাকরি ছাড়াও একাধিক উৎস থেকে আয় রয়েছে৷
advertisement
যদিও ওই মহিলার স্বামী পারিবারিক আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁরই ভাইয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী৷ পরকীয়ার এই অভিযোগকে ভিত্তি করেই ডিভোর্সের মামলা করেন মহিলার স্বামী৷ সেই দাবি মেনে নিয়েই ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতি দেয় পারিবারিক আদালত৷ তবে একই সঙ্গে স্ত্রীকে মাসিক চার হাজার টাকা করে খোরপোষ দেওয়ারও নির্দেশ দেয়৷
যদিও নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকেই ভুল বলে খারিজ করে দেয় ছত্তীসগড় হাইকোর্ট৷ বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ভার্মা জানিয়ে দেন, খোরপোষ পাওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই ওই মহিলার৷ কারণ সিআরপিসি-র ১২৫(৪) ধারা অনুযায়ী, পরকীয়ায় জড়িত কোনও স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে কোনও খোরপোষ পাওয়ার অধিকারী নন৷
ওই মহিলা হাইকোর্টে দাবি করেন, তিনি এখন আর কোনও পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত নন৷ ফলে তিনি খোরপোষ পাওয়ার অধিকারী৷ যদিও সেই যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারপতি৷