ভালো কাজের জন্য মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন মল্লিকা। ইতিমধ্যেই পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা মল্লিকাকে তাঁর কাজের জন্য পুরস্কৃতও করেছেন।
জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে মালিকাকে। তবে এ নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। এই বিষয়ে মালিকার সাফ জবাব জীবন কুসুমে বিছানো পথ নয়, যে ভাবেই হোক লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
advertisement
জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনগরম গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান তিনি। তাঁর বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাই ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক অস্বচ্ছলতা আর প্রবল অর্থকষ্টের মধ্যে বড় হয়েছেন। তবুও নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন মল্লিকা। প্রবল অর্থকষ্টকে মল্লিকা জয় করেছেন তাঁর প্রখর মেধা দিয়ে। প্রথমে গ্রামের পাঠশালা, তার পর স্নাতক স্তরে চাচার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের ডিগ্রি নিয়ে পাশ করে হায়দরাবাদের মাধোপুরের একটি কর্পোরেট সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেন মালিকা। সেখানে সার্টিফায়েড ফিনান্সিয়াল প্ল্যানার কোর্স শেষ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কোন দিনটা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়? জানুন ও সতর্কতা নিন
কিন্তু মানব সেবার ইচ্ছায় কর্পোরেট সংস্থার মোটা মাইনের চাকরি কয়েক দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেন মল্লিকা। এরই মধ্যে সুবর্ণ সুযোগ আসে তাঁর সামনে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত গ্রাম সচিবালয় পদে নিযুক্ত হওয়ার আবেদন জানান মল্লিকা। যোগ্যতার মাপকাঠিতে বাকি প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে অবশেষে মহিলা পুলিশে মাত্র ১৩ হাজার টাকার মাস মাইনের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে মল্লিকা অন্ধ্রপ্রদেশ মহিলা পুলিশের চক্রদ্বারবন্ধম গ্রামে কর্মরত।
জানা গিয়েছে, পুলিশে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই এলাকার নারীদের ওপর অত্যাচারের প্রায় ৬০টি মামলার তিনি নিষ্পত্তি করেছেন ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাল্য বিবাহও রুখে দিয়েছেন তিনি। তবে ওই এলাকার অপরাধ ঠেকাতে গিয়ে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বার বার। তবুও অকুতোভয় তিনি। কারণ মানব সেবা যে পরম ধর্ম তা সর্বদা, সর্বক্ষণ মেনে চলেন মল্লিকা।