অন্য দিকে, আরও এক মহোৎসবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশ। আবার আসন পাতা হবে দেবী দুর্গার পূজার। ভুলে গেলে চলবে না যে শরৎকালের মহাপূজাকে বলা হয়ে থাকে অকালবোধন। শ্রীরামচন্দ্র শরতে দেবীকে জাগ্রত করেছিলেন নিদ্রা থেকে, রাবণবধের আশীর্বাদ প্রাপ্তির জন্য। আদতে দুর্গা পূজার রেওয়াজ ছিল বসন্তকালে, সঠিক ভাবে বললে চৈত্র মাসে, যা বাসন্তী দুর্গোৎসব নামে সুপরিচিত।
advertisement
শুরু হয়েছে সেই চৈত্র মাস। এটি একটি খুবই বিশেষ মাস রূপে গম্য হয়। এবার নবরাত্রি শুরু হবে ৩০ মার্চ থেকে। দেবী দুর্গার আগমন হবে হাতির পিঠে, যা খুবই শুভ লক্ষণ রূপে পরিগণিত হয়ে থাকে। তবে জেনে রাখা ভাল যে তিথিক্ষয়ের জন্য এবার নবরাত্রি নয়টি দিনের নয়, আট দিনের হবে।
ভগবান রামের শহর অযোধ্যায় রাম নবমীর দিনে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু, এবার চৈত্র নবরাত্রি ৮ দিন হওয়ায় রাম নবমীর তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক যে এই বছরে রাম নবমী কবে উদযাপিত হতে পারে এবং এর শুভ সময় ও ধর্মীয় তাৎপর্য কী!
কখন পূজার শুভ সময় –
অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম বলেছেন যে, বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, চৈত্র শুক্লা নবমী তিথি ৫ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭.২৬ থেকে শুরু হবে এবং ৬ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যা ৭.২২ পর্যন্ত চলবে। এমন পরিস্থিতিতে ৬ এপ্রিল পালিত হবে রামনবমীর উৎসব। রামনবমীর পূজার শুভ সময় পড়ছে সকাল ১১.০৮ থেকে দুপুর ১.৩৯ পর্যন্ত।
শুভ তিথি যোগ-
শুধু তাই নয়, রামনবমীর দিনে অনেক শুভ কাকতালীয় তিথি তৈরি হচ্ছে। রামনবমীর দিনে রবি পুষ্প যোগের সঙ্গে বিশ্বকর্মা যোগ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ গঠিত হচ্ছে। এই বিরল যোগে করা পূজা বহুগুণ ফল দেবে।
শ্রীরামের উপাসনার গুরুত্ব –
রাম নবমীর দিন ভগবান রামের পূজা করা উচিত। প্রচলিত বিশ্বাস, এই শুভ তিথিতে নবদূর্বাদলশ্যাম ভগবান রামের পূজা করলে শুভ ফল পাওয়া যায় এবং জীবনে সুখশান্তিও বজায় থাকে।