বানিজ্য ও উদ্যোগ মন্ত্রীর কাছে অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে? তার ভবিষ্যৎই বা কী? আনুমানিক কবে একটি কাঠামোগত চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? এই ধরনের শুল্ক নীতি কার্যকর হলে ভারতীয় পণ্যের জন্য অনুকূল শর্ত বা ছাড় নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?
দিনে দু’বোতল মদ অর্ডার করতেন! VIP রোডের হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে মিলল BSF জওয়ানের দেহ
advertisement
লোকসভায় বাণিজ্য ও উদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ উত্তরে জানিয়েছেন, ভারত–মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (BTA) নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০২৫ সালের মার্চে। ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে, সর্বশেষটি ১৪–১৮ জুলাই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া কিছু পণ্যের ওপর ২৫% প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মোট রপ্তানির প্রায় ৫৫% মূল্যের পণ্যে। এছাড়া, ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় কিছু রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫% অ্যাড ভ্যালোরেম শুল্ক বসানো হয়েছে। তবে ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স খাতে আপাতত কোনও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপিত হয়নি।
অভিষেক প্রশ্ন রাখেন, আলোচনার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে শুল্কের অনিশ্চয়তা বা বাণিজ্যিক বাধা নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কি? যদি না করে থাকে, তবে তার কারণ কী?
বস্ত্রসহ কিছু ক্ষেত্রে শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে পণ্যের ভিন্নতা, চাহিদা, মান এবং চুক্তিগত ব্যবস্থার ওপর। সরকার রপ্তানিকারক ও শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং কৃষক, শ্রমিক, MSME ও শিল্পখাতের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেবে।
প্রসাদ আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের লক্ষ্য হলো শুল্ক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য পূর্বানুমানযোগ্যতা নিশ্চিত করা, যাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের পরিবেশ আরও অনুকূল হয়।