চলতি মাসেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিক এবং পুষ্টিবিদরা। স্কুলগুলোকে রাজ্যের তরফে দেওয়া অর্থ, রাজ্যে, জেলা এবং ব্লকস্তরে এই প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ কমিটি। এছাড়াও রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার থেকে স্কুলগুলিতে খাদ্যশস্য পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং পরিকাঠামো নির্মাণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
আরও পড়ুন : মিসড কলে চাকরি হয়নি, ত্রিপুরায় প্রচার তৃণমূল কংগ্রেসের
advertisement
আরও বেশ কতকগুলি বিষয়ে নজর রাখা হবে। তার মধ্যে রয়েছে রান্নার সরঞ্জাম কেনা, রান্না ঘর ও মজুদের জন্য ঘর তৈরি, ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে খাদ্যশস্য বাবদ টাকা মেটানোর ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র রাজ্যের যৌথ কমিটি। সবচেয়ে প্রবীণ সাংসদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জেলাস্তরে বৈঠকের দিকেও নজর যৌথ কমিটির।
আরও পড়ুন : খুনের চেষ্টার মামলায় দশ বছরের জেল, সাংসদ পদ খোয়ালেন এনসিপি-র মহম্মদ ফয়জল
দিন কতক আগেই মিড ডে মিলে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে মিড ডে মিল-এর টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে রাজ্যে কেন্দ্রীয় অডিট টিম পাঠানোর আর্জি জানান বিরোধী দলনেতা। ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পাঠানো ওই চিঠিতে বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, অনৈতিক ভাবে ফান্ড ডাইভারশন, মিড ডে মিলের ভুয়ো বিল তৈরি করা-সহ একাধিক পথে মিড ডে মিল বা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে রাজ্য সরকার। এমনকি, শাসকদল তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থেও এই প্রকল্পের টাকা ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। চিঠিতে মিড ডে মিলের জন্য পাঠানো কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা অন্য খাতে খরচ করার গুরুতর অভিযোগের পাশাপাশি বরাদ্দ ব্যবহারের গাইডলাইনও অমান্য করার অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যের বিরুদ্ধে।