অরুণাচল প্রদেশে ১৭৪৮ কিলোমিটার লম্বা এই হাইওয়ে ভারত-তিব্বত-চিন- মায়ানমার সীমান্ত বরাবর তৈরি করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ১৭৪৮ কিলোমিটার এই হাইওয়ের ৮০০ কিলোমিটার পথ তৈরি হবে ‘গ্রিনফিল্ড’ বা মেঠো জমির ওপর। থাকবে বেশ কিছু ব্রিজ ও টানলেও ।
আরও পড়ুন - Weather Update: কলকাতায় ফের নামল তাপমাত্রা, শৈত্য প্রবাহের অ্যালার্ট জারি করল আইএমডি, রইল ওয়েদার আপডেট
advertisement
অরুণাচলের বমডিলা থেকে শুরু হয়ে এই হাইওয়ে নাফরা, হুরি ও মোইনগং এর ওপর দিয়ে যাবে। চিন বর্ডার লাগোয়া জিডো ও চেংকোয়েন্টি হয়ে মায়ানমার সীমান্তের কাছে বিজয়নগরে গিয়ে শেষ হবে এই হাইওয়ে ।
২০১৮ অরুণাচলের এই করিডরকে নোটিফিকেশন দিয়ে জাতীয় সড়কের তকমা দিয়েছিল কেন্দ্র । তবে কাজ শুরু হয়নি। গালওয়ান আর তাওয়াং এর সংঘর্ষের পর যেন নড়ে চড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন - জমিয়ে জমজমাট! মেসির আর্জেন্টিনা জিততেই রাস্তায় নাচ, রইল প্রমাণ
ভারতের অনেক আগে থেকেই ভারত চিন LAC (লাইন এফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) পর্যন্ত পাতা রাস্তা ও ছাউনি বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল চিন সেনা। বারবার স্যাটেলাইটেও ধরা পড়ে সেই ছবি। তাওয়াংয়ের ঘটনার পরই নড়ে চড়ে বসে কেন্দ্র। এবার ভারতও চিন সীমান্তে নিজেদের তৎপরতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে ।
বিশেষজ্ঞদের মতে দেরিতে হলেও NH913 ভারত চিন ও ভারত মায়ানমারা সীমান্তের বড়া মাথাব্যাথার কারণগুলিকে শেষ করতে পারবে। ভারচ চিন LAC লাগোয়া এই হাইওয়ে ব্যবহার করে খুব সহজেই সড়ক পথে ফরওয়ার্ড লোকেশনে সেনা ও রসদ পাঠাতে পারবে ভারত। পাশাপাশি ট্যাঙ্ক ও বিগ গান ( বোফোর্স , হাউইটজার) খুব দ্রুততার সঙ্গে ফরওয়ার্ড লোকেশনে পৌঁছে দেওয়া যাবে। মায়ানমার সীমান্তে এই হাইওয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনুপ্রবেশের সমস্যাও মেটাতে পারবে বলে মত অনেকের । পাশাপাশি হাইওয়ের ফলে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে অরুণাচলের অনেক দুর্গম জায়গারও সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ২০২৬ থেকে ২০২৭ এর মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে NH913। তবে অনেকেই প্রশ্ন করছেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ২০১৮ সালে পাশ হওয়ার পরেও কেন ফেলে রেখেছিল কেন্দ্র সরকার?
Ilmaz Syed