শনিবার জরুরি বৈঠকের পর সব রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র। বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বাড়ছে। এ দিন সকালে জরুরি বৈঠকে বসেন নীতি আয়োগ, আইসিএমআর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। বৈঠকে মূলত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের অ্যাডিনোর বলি ২ শিশু, মৃত্যু কলকাতা মেডিক্যালে! বি সি হাসপাতালেও মৃত ১
বৈঠকের পর সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। চিঠিতে বলা হয়েছে - আবহাওয়া পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলেই জ্বর, শ্বাসকষ্ট-সহ শরীরের অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে বহু মানুষের। এর থেকে মুক্তি পেতে আপাতত মাস্কের ব্যবহার চালু রাখার উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে নীতি আয়োগ ও আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত পয়লা জানুয়ারি থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের মোট যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার ২৫.৪ শতাংশেই অ্যাডিনো ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এর পরেই রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য দফতরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে ছোট-বড় সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৮ দিন ধরে ইকমো সাপোর্টে থাকা ৫ বছর বয়সী শিশুর প্রাণ বাঁচাল কলকাতার হাসপাতাল
বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে H1N1, H2N3 এবং অ্যাডিনো ভাইরাস বাড়ছে। শিশু, বৃদ্ধ এবং যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদেরও সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কোভিডের প্রকোপ কমলেও কোভিড সম্পর্কে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিল কেন্দ্র।
অ্যাডিনো সংক্রমণ রোধে অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধির পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহারের উপর ফের জোর দিয়েছে কেন্দ্র। হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি রাখার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হল।