তার প্রস্তুতি হিসেবে প্রথমে একটি সর্বভারতীয়স্তরের তথ্যভান্ডার তৈরি করা হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। এতদিন স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হত এই তথ্য ভাণ্ডার। সেখানে উল্লেখ থাকবে জন্ম, মৃত্যু থেকে শুরু করে নাগরিকদের যাবতীয় তথ্য।
গত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে জন প্রতিনিধি আইন পাস করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তির কথা বলা হয়। যদিও কেন্দ্রের দাবি, বিষয়টি ঐচ্ছিক। এবার যে তথ্যভান্ডার তৈরি হতে চলেছে তার সঙ্গে সংযুক্তি হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, আধার কার্ড, রেশন কার্ডের মতো নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ নথির তথ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ডোবারম্যান তো মানুষ নয়, কুকুরই হয়!' তাপসের আক্রমণের জবাব দিলেন সুদীপ
কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, এনআরসি-র মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশের জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি আপডেট করা হবে। প্রথমে অসমে এনআরসি চালু করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, অসমে বহু সাধারণ মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে এবার ফের সেই হেনস্থা হতে না হয়। নাগরিকদের নথি পেশ থেকে শুরু করে নানান চাপ সরকার যেন জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে না দেয়।
সংসদের উভয়কক্ষে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন। ২০১৫ -র আগে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে এ দেশে আসা অমুসলিম নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা হয়। সারা দেশজুড়ে নাগরিত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ এর প্রবল বিরোধিতা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশে ফের বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিতেই এনআরসিকে সামনে আনা হচ্ছে। আগামী দিনে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যে এনআরসি বা সিএএ এর মতো বিভাজনমূলক আইন কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। এনআরসি এবং সিএএ- এর বিরুদ্ধে নিজে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।