আগামী ২৩ জানুয়ারি ‘চূড়ান্ত মহড়া’। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের থিম, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব।’ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে থিম ঠিক করেছে কেন্দ্র। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এবারের ট্যাবলোর বিষয় ছিল–নেতাজি। কারণ, এবার সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী।
আরও পড়ুন- দলত্যাগী বিধায়কদের কটাক্ষ সামলে দলিত পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগী
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আইএনএ বিষয়ক ট্যাবলো পাঠানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। নিয়মমাফিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তৈরি একটি কমিটি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কমিটি পর পর পাঁচবার বৈঠক করলেও ডাক পায়নি রাজ্য সরকার।
advertisement
দিল্লিতে রাজ্য সরকারের রেসিডেন্স কমিশনের দপ্তর সূত্রে খবর, এবারও রাজ্যের প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। যদিও রাজ্যকে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এদিকে, দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি এখন চরমে। হাতে আর সময় বেশি নেই।
সূত্রের খবর, এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে কেন্দ্রীয় সরকারের থিমকে মাথায় রেখে স্বাধীনতা আন্দোলন এবং দেশনায়কের ভূমিকা তুলে ধরতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো থ্রি-ডি নকশা পাঠানো হয়েছিল। যেখানে নেতাজির পতাকা উত্তোলন, রবীন্দ্রনাথ ও সুভাষচন্দ্রের নানা মুহূর্তের ছবি, আজাদ হিন্দ বাহিনী, ত্রিপুরা কংগ্রেসে গান্ধীজির সঙ্গে নেতাজির ছবি–সহ কাউটআউট।
আরও পড়ুন- কোনও অন্তর্ঘাত নয়, বিপিন রাওয়াতের দুর্ঘটনার কারণ অন্য, তদন্তে বেরিয়ে এল তথ্য
ঠিক হয়েছিল, রাজধানীর রাজপথে চলন্ত ট্যাবলোর সঙ্গে ৬৫ সেকেন্ড বাজবে ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’। কিন্তু সেই ট্যাবলোর অনুমোদন দিল না প্রতিরক্ষামন্ত্রক। উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যের 'কন্যাশ্রী' ট্যাবলো বাতিল করা হয়েছিল। অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত ট্যাবলো নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কোনও চিঠি পায়নি নবান্ন। সুতরাং একপ্রকার নিশ্চিত, সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজপথের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা সৌগত রায়। তাঁর কথায়, "নরেন্দ্র মোদি সরকার সরাসরি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে অপমান করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে বাংলাকে হেয় কর, স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরই অপমান করে চলেছে মোদি সরকার।" এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার অবশ্য বলেছেন, "প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ নিয়ে রাজনীতি মোটেই কাম্য নয়। দিল্লির রাজপথের কুচকাওয়াজে বাংলার শোভাযাত্রা থাকাই কাম্য।"