বিদেশ ফেরত যাত্রীদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের শনাক্তকরণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোন্সিং এর জন্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বিশেষ করে কলকাতা জেলায় সংক্রমন লাফিয়ে বেড়েছে গত দুই সপ্তাহে। সংক্রমন লাগাম টানতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষনের পরামর্শ, করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। সংক্রমিত ব্যাক্তিদের কোয়ারেন্টাইন, আইসলেশন পাঠাতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: '২৫০ বার' পজিটিভ! এই টেনিস প্লেয়ার আর করোনার অটুট রেকর্ড সম্পর্কে জানেন?
সংক্রমিত এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোন, বাফার জোন তৈরি করতে হবে। জোর দিতে হবে টিকাকরণে। করোনার আচরন বিধি পালনেও জোর দিতে হবে। স্বাস্থ্যসচিবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতায় ১ ডিসেম্বর- ৭ ডিসেম্বর সংক্রমন ছিল ১৫০৮। ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর সপ্তাহে ১৬০৮ ছিল। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ ১৫ থেকে ২১ ডিসেম্বর ১৪৯৪ জন আক্রান্ত হন। আর ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২৬৩৬ জন! সংক্রমণ বৃদ্ধির এই সংখ্যায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ডাস্টবিনের পাশে খেলছিল দুই শিশু, হঠাৎ বিস্ফোরণ! সল্টলেকে মারাত্মক ঘটনা...
দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে একের পর এক রাজ্য সংক্রমণ ঠেকাতে নাইট কার্ফু জারি করেছে। তাতে বর্ষশেষের উৎসবে ভাটা পড়বে জেনেও। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সংক্রমন মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা করোনার ডেল্টা রূপের কারণেই। এর সঙ্গে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়ালে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। তাঁদের মতে, অবিলম্বে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করলে পরিস্থিতি আবার কয়েকমাস আগের মতো ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াবে।