এতটাই সংবেদনশীল এই বিষয় যে, অতীতে কার্গিল যুদ্ধ, ২৬/১১ মুম্বই হামলা, কিংবা কান্দাহার হাইজ্যাকের সময় এমন আগেভাগে তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার জন্য বিপদ তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
advertisement
এই গাছগুলো ভুল করেও বাড়ির চারপাশে লাগাবেন না! সাপ ডেকে আনে, হয়ে উঠবে ‘নাগরাজের বাসা’!
কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়—
১. সংবাদমাধ্যম, ডিজিটাল মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে রিপোর্ট করতে হবে।
২. প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও অভিযান বা নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে কোনও রিয়েল-টাইম আপডেট, ভিডিও বা সোর্স নির্ভর রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে না।
৩. কার্গিল যুদ্ধ, ২৬/১১ হামলা ও কান্দাহার হাইজ্যাকের মতো ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে—তথ্যের আগাম ফাঁস কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
৪. ২০২১ সালের Cable Television Networks (Amendment) Rules-এর 6(1)(p) ধারায় বলা হয়েছে—সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় শুধুমাত্র সরকার নিযুক্ত কোনও আধিকারিকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্রিফিংই সম্প্রচারে আসতে পারে। লাইভ সম্প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫. এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে কেবল টিভি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
শেষে সব সংবাদমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে—রিপোর্টিংয়ের সময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, সংবেদনশীলতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে দায়িত্ব পালন করুন।
এই নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের স্বীকৃত প্রাধিকারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অনুমোদনে জারি হয়েছে।