মন্ত্রকের বক্তব্য, জনগণনা পরিচালনার সরকারি অভিপ্রায় ১৬ জুন গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। জনগণনা হবে দুই ধাপে—
পর্ব I: হাউস লিস্টিং ও হাউসিং সেনসাস, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৬-এর মধ্যে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সুবিধামতো ৩০ দিনের সময়সীমার মধ্যে।
পর্ব II: Population Enumeration (PE), যা অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারি ২০২৭-এ।
advertisement
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় জানান, ২০২৭ সালের জনগণনায় জনগণনার রেফারেন্স তারিখ ধরা হয়েছে ১ মার্চ ২০২৭-এর রাত ১২টা (০০:০০ ঘণ্টা)। তবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরের তুষারাবৃত অ-সমসাময়িক এলাকাগুলি, এবং হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রে জনগণনা হবে সেপ্টেম্বর ২০২৬-এ, রেফারেন্স তারিখ ১ অক্টোবর ২০২৬-এর রাত ১২টা।
নগণনা! সমীক্ষা শুরু ‘২৬ থেকেই! মোবাইল অ্যাপ দিয়ে কী ভাবে করবেন? জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
পিটিআই সূত্রে মন্ত্রক জানায়, প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন মন্ত্রক, সরকারি দফতর, সংস্থা ও তথ্য-ব্যবহারকারীদের মতামত নিয়ে প্রশ্নপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ভারতের জনগণনার ইতিহাস ১৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো এবং আগের সমস্ত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে প্রতিটি নতুন জনগণনা পরিচালিত হয়।
এক পৃথক প্রশ্নের উত্তরে নিত্যানন্দ রায় বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (CCPA) গত ৩০ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে—জাতি ভিত্তিক গণনাও এই জনগণনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ২০২৬-এর এপ্রিল থেকে ২০২৭-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সমীক্ষা।
এছাড়া তিনি জানান, ২০২৭ সালের জনগণনা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, যেখানে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং নাগরিকদের জন্য থাকবে অনলাইন স্ব-অন্তর্ভুক্তিকরণের সুযোগ।
