২৭ নভেম্বর তেলঙ্গনায় চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। তার মধ্যেই শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ৪ অভিযুক্তের। এরপরই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে ৷ সত্যিই কি পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা? নাকি ঠান্ডা মাথায় ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করা হয়েছে চারজনকে? হায়দরাবাদে ভোররাতের এনকাউন্টার অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ৷
তবে সম্প্রতি অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের পর একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে যেখানে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল কিনছেন অভিযুক্ত ৷
advertisement
২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদের শামশাবাদে এক তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করে ওই চার অভিযুক্ত। এর পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সাদনগরে, ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের আন্ডারপাসে পুড়িয়ে ফেলা হয় ওই তরুণীর দেহ। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করে তেলেঙ্গনার পুলিশ। তাদের জেরা করে জানতে পারে, ওই আন্ডারপাসের কাছেই রাস্তার ধারে ঝোপে, তরুণীর ঘড়ি, মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক তারা ফেলে দেয়। পুড়িয়ে দেয় সিম কার্ড।
চিৎকার থামাতে চিকিৎসক তরুণীর মুখে ঢেলে দেওয়া হয়েছিল মদ। গণধর্ষণের পর নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন। কম্বলে জড়িয়ে দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল। হায়দরাবাদের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।