এতদিন সিবিআই এবং ইডি-র কর্তাদের কার্যকালের (ED-CBI Chiefs) মেয়াদ ছিল ২ বছর। এবার তা আরও তিন বছর বাড়ানোর বন্দোবস্ত করা হল। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, মেয়াদ ২ বছর শেষ হওয়ার পর কোনও অধিকার্তার মেয়াদ এক বছর করে ৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সই করেছেন অধ্যাদেশে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির ময়দানে পা দিলেন সোনু সুদের বোন, ভোটে কি দাঁড়াচ্ছেন অভিনেতাও?
advertisement
নয়া এই অধ্যাদেশে (ED-CBI Chiefs) দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি-র কর্ণধারদের কার্যকারিতার মেয়াদ দুই থেকে পাঁচ বছর করার কথা বলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বর্তমান ইডি অধিকর্তা সঞ্জয়কুমার মিশ্রর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৬ নভেম্বর, সোমবার। সেই কারণেই তড়িঘড়ি এই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে।
কিন্তু, আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর, অনেক সময় বেশকিছু মামলার তদন্ত সময়সাপেক্ষ হয়ে ওঠে। এর মধ্যে যদি সংস্থার অধিকর্তা বদলে যায়, সেক্ষেত্রে সেই মামলার তদন্তে অযথা বিলম্ব হয়। নতুন অধিকর্তা বা নির্দেশক নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত তদন্ত প্রক্রিয়া এবং তদন্তকারী দল বদলে যায়। মূলত, এসব কথা মাথায় রেখেই ডিরেক্টরদের মেয়াদবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইডি-র ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সঞ্জয়ের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। তারই মধ্যে কেন্দ্র এই অধ্যাদেশ আনায় মনে করা হচ্ছে সঞ্জয়ের কার্যকাল বেড়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির জমানাতেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ারা। বেশ কিছু দিন ধরেই তাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের সারদা-নারদ থেকে কয়লা-কাণ্ড নিয়েও সক্রিয় ইডি। কংগ্রেস-সহ প্রায় সমস্ত বিরোধী নেতার বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইডি-র ডিরেক্টরের পদে সঞ্জয়কে রাখতে সচেষ্ট ছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী-বিধায়কের 'যুগলবন্দীতে' চলল বাস! দৃশ্য দেখে হতবাক মালদহের মানুষ...
এর আগে ২০১৮-য় ইডি-র ডিরেক্টর পদে দু’বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল সঞ্জয়কে। গত বছর তাঁর মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। তার জন্য ২০১৮-র নিয়োগের পুরনো নির্দেশিকায় সংশোধন করে দু’বছরের জন্য নিয়োগকে তিন বছর করা হয়। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও হয়। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে সরকারের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত শেষ করতেই মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর পরে সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত শেষ করার স্বার্থে অবসরের পরেও যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে বলে রায় দেয়। একই সঙ্গে জানায়, এর পর আর মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। এবার অধ্যাদেশ এনে মেয়াদ বাড়ানোর ফলে সঞ্জয় ওই পদে আরও দু’বছর থাকতে পারবেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।