সকাল ১১ টা নাগাদ ব্যাঙ্কে যান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী এবং সিবিআই আধিকারিকরা। তবে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ব্যাঙ্কের লকারে তেমন কিছুই পাবেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিনি বলেন, "আমার বাড়িতে ১৪ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে কিছুই পাওয়া যায়নি। তেমনি ব্যাঙ্কের লকার খুঁজেও কিছু পাওয়া যাবে না। আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।"
আরও পড়ুন: 'তোমাকে যদি আদালতে ল্যাজে গোবরে না করি আমার নাম অভিষেক না'
advertisement
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। যদিও ১৪ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাওয়া যায়নি। এদিকে, এই পরিস্থিতিতেই দিল্লির উপ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে আম আদমি পার্টি। উপ রাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক। তাঁর অভিযোগ, খাদি গ্রাম শিল্প বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছিলেন বিনয়ের সাক্সেনা। দুর্গেশ পাঠকের আরও অভিযোগ নোট বাতিলের সময় কালো টাকা সাদা করায় যুক্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'এবার ওঁর ২ বছরের ছেলেকেও নোটিস দেবে', অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে মমতার বড় বার্তা
আপ বিধায়ক বলেন, " নোট বাতিলের সময় আমাদের উপ রাজ্যপাল ভিকে সাকসেনা ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছিলেন।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে মনীশ সিসোদিয়া অভিযোগ করেন, দল ভেঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করার অফার দেয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁর দাবি, বিজেপির তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁকে আম আদমি পার্টি ভেঙে তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিরোধীরা বহুবার অভিযোগ করে এসেছে যে সিবিআই-ইডি জুজু দেখিয়ে অন্য দল ভাঙে বিজেপি। একটি ট্যুইট করে মণীশ সিসোদিয়া লিখেছেন, 'আমার কাছে বিজেপির বার্তা এসেছে আম আদমি পার্টি ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিন। সিবিআই, ইডির সমস্ত মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিজেপিকে আমার জবাব- আমি মহারানা প্রতাপের বংশধর, আমি রাজপুত। মাথা কেটে ফেলব কিন্তু দুর্নীতিবাজ, ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে মাথা নত করব না। আমার বিরুদ্ধে সব মামলা মিথ্যে, যা খুশি করুন।' তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তিনি বলেছেন এটি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাল কাজকে বদনাম করার জন্যই করা হয়েছে এবং কেজরিওয়ালের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য করা হচ্ছে। কারণ তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।