আহমেদাবাদে ভেঙে পড়া বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। দু’জনের মিলিত উড়ান অভিজ্ঞতা ছিল ৯,৩০০ ঘণ্টারও বেশি। যেখানে ক্যাপ্টেন সুমিতের একারই, প্রায় ৮২০০ ঘণ্টা। এত অভিজ্ঞ হাতে বিমানের রাশ থাকা সত্ত্বেও আছড়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 অভিশপ্ত বিমান।
advertisement
একাই ৮,২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালের! ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার দুপুরে যিনি ছিলেন লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়া এআই-১৭১-এর পাইলট। ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ২৪২ জনকে নিয়ে লোকালয়ের উপর ভেঙে পড়ে সেই বিমান। মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চার দিক। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, সে সব এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেন দুই দক্ষ ও অভিজ্ঞ পাইলট থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সকলকেই।
সুমিত সবরওয়াল ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার একজন অভিজ্ঞ লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেনও। ডিএনএ পরীক্ষার পর সুমিতের দেহ শনাক্ত করা হয়েছিল। তার পর মঙ্গলবার সকালে মুম্বইয়ে বাড়িতে পৌঁছয় পাইলট সুমিতের দেহ।
সুমিতের বাবার বয়স ৮৮ বছর। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই সুমিত জানিয়েছিলেন চাকরি ছেড়ে দেবেন। তাঁর দেখভাল করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুমিত।
