সংস্থা এই প্রসঙ্গে কী বলছে, তা জানার আগে কেন এই ধরনের প্রশ্ন উঠছে, সেটা একটু বুঝে নেওয়া দরকার! এত দিনে আমরা সবাই জেনে গিয়েছি যে করোনাভাইরাসের সাধারণ লক্ষণ হল ১. শুকনো কাশি, গলায় ব্যথা, ২. জ্বর বা কাঁপুনি, ৩. ক্লান্তি, গায়ে ব্যথা বা মাসল পেইন, ৪. মাথায় ব্য়থা, ৫. নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে জল পড়া, ৬. নিশ্বাস নিতে অসুবিধা, ৭. খিদে কমে যাওয়া এবং ৮. কোনও কিছুর স্বাদ এবং গন্ধ না পাওয়া। অর্থাৎ ফ্লুয়ের চারিত্রিক লক্ষণের সঙ্গে করোনার কিছু প্রাথমিক মিল আছে। আর এখান থেকেই উঠছে এই গরম জলের ভাপ ইনহেল করার প্রসঙ্গটা। অতিরিক্ত সর্দি হলে আমরা অনেকেই গরম জলের ভাপ ইনহেল করি, কখনও বা তার মধ্যে দিয়ে থাকি ইউক্যালিপটাস অয়েল। কিন্তু এই প্রক্রিয়া কি আদৌ করোনাভাইরাসকে অকেজো করতে পারে?
advertisement
https://twitter.com/UNICEFIndia/status/1383268986377277455?s=20
UNICEF সাউথ এশিয়ার মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেল্থ বিভাগের রিজিওনাল অ্যাডভাইজর পল রাটার (Paul Rutter) এক সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওতে মুখ খুলেছেন। তিনি সবার প্রথমে সতর্ক করে দিচ্ছেন জনতাকে। বলছেন যে এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে গরম জলের ভাপ ইনহেল করলে তা শরীরের ভিতরে গিয়ে কোভিড ১৯-এর ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারবে। তবে এই প্রক্রিয়া যে ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকর সাব্যস্ত হবেই, সেটা বেশ জোর দিয়ে বলছেন তিনি।
পল রাটার দাবি করেছেন যে গরম জলের ভাপ ইনহেল করলে তা শরীরের ভিতরে গিয়ে আমাদের ইনহেলিং সিস্টেম বা শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতার উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ক্রমাগত গরম জলের ভাপ ইনহেল করলে তা শরীরের ভিতরে গিয়ে শ্বাসনালীতে ছ্যাঁকা দেবে। একই সঙ্গে শ্বাসনালী এবং খাদ্যনালীর সংযোগস্থল, যাকে আমরা গলবিল বলে থাকি, তাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে আখেরে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হবে। আর মুখ খুললে ভাইরাসেরই সুবিধা হবে শরীরের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার। সব মিলিয়ে গরম জলের ভাপ ইনহেল করলে করোনাভাইরাসের সুবিধা করে দেওয়া হবে বলেই মত পোষণ করেছেন পল রাটার!