২০২০ সালে নেপালে যায় পীর মহম্মদ। হোয়াটস অ্য়াপ কলের মাধ্যমে তথ্য পাচার করত পীর মহম্মদ, দাবি রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের । সেই NIA-এর মোস্ট ওয়ান্টেড অবশেষে গ্রেফতার। অভিযোগ, পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল পীর মহম্মদের। এমন কী মোটা টাকার বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতো পীর মোহাম্মদ, দাবি রাজ্য পুলিশের এসটিএফের। এর আদি বাড়ি নেপালে হলেও কয়েক বছর কালিম্পঙয়ে থাকছিল পীর মহম্মদের পরিবার।
advertisement
আরো পড়ুন- আগামিকাল মহালয়ায় কি প্রবল বৃষ্টি নাকি ভ্যাপসা গরম, জেনে নিন তর্পণে যাওয়ার আগেই
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা কোথায় কোথায় ঘাঁটি তৈরি করতে পারবে, সে বিষয়ে গ্রামে যাওয়ার সুবাদে সে তথ্য পাচার করতো পাকিস্তানকে। ইয়াসিন ভাটকলের স্টাইলে তবলিগ-ই-জামাতে যেত পীর মহম্মদ। ইয়াসিন ভাটকল ২০১২ সালে গ্রেফতার হয়েছিল।পীর মহম্মদকে জেরা করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে নয়া তথ্য। ২০২০ সালে নেপালে যায় পীর মহম্মদ। সেখানে তবলিগ-ই-জামাত করতো। সেখানে এক ব্যক্তি পীর মোহাম্মদকে বলে টাকার বিনিময়ে তথ্য দেওয়ার জন্য। এরপরই পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্ট অপারেটিভ এর সঙ্গে যুক্ত হয় পীর মোহাম্মদ। হোয়াটস্যাপ কল-এর মাধ্যমে যোগাযোগ। তথ্য পাচার করতো। পীর মহম্মদ আগে ইলেকট্রনিক্স আইটেম গ্রামে গিয়ে বিক্রি করতো। সহজ কিস্তিতে পাইয়ে দিত। তখনই নজরে আসে পীর। এরপরই পীর মহম্মদকে টাকার বিনিময়ে তথ্য দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়। অবশেষে গ্রেফতার। ধৃতর মোবাইল, হোয়াটস্যাপ কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। কত দিন ধরে পাকিস্তানকে তথ্য পাচার করতো? কি কি তথ্য দিয়েছে? স্পর্শকাতর কোন কোন তথ্য দিয়েছে? খতিয়ে দেখছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
ARPITA HAZRA