দেশের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করার ক্ষেত্রে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না এই সরকার। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উদাহরণ টেনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধি ছাড়া আর কেউ কখনও বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেনি। বিচারব্যবস্থাকে টানাছেঁড়া করতে যাবেন না।"
advertisement
কল্যাণ ছাড়াও এদিন সন্ধ্যায় বক্তৃতা করেন মহুয়া মৈত্রও। তাঁর অভিযোগ, এক ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে সঙ্গী হন এবং তাঁর হাতেই সরকারের রিমোট কন্ট্রোল থাকে। অভিযোগ মহুয়া মৈত্রের। তাঁর বক্তব্যের সময় বারবার বাধা দিতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদদের। সেই সময় সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ভর্তহারি মেহতাবকে মহুয়া আবেদন করেন, তিনি যেন বিক্ষোভরত বিজেপি সাংসদদের শান্ত করেন। যদিও তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহুয়া বলেন, "কোনও সদস্য যাতে নির্বিঘ্নে তাঁর ভাষণ শেষ করতে পারেন, সেটা দেখার দায়িত্ব আপনার।" এরপরেই ভর্তহরি মেহতাব বলেন, " আপনারা শান্ত হন। এবার তো চুপ করুন। আমার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমি আপনাদের নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম।"
আরও পড়ুন- রেল যাত্রীদের জন্য ‘সুখবর’, রাজ্যে আরও বেশি গতিতে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
শুধুমাত্র সংসদের অধিবেশনেই নয়, এসবিআই এর দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদেরা।
অন্যদিকে, এদিন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন। মহিলা সংরক্ষণ বিল আনার দাবি তোলেন তিনি। আজ, লোকসভায় জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রাজীব চক্রবর্তী