তিনি বলেন, “গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে দেখছিল। এদের কাজ হচ্ছে কোনও সভা চললে তাকে ভণ্ড করা, আক্রমণ করা। এখানে মুখ্যমন্ত্রী দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, সাতজন গিয়ে এই ভণ্ডামি করার কী ছিল। ওখানকার মানুষজনই তাড়া করেছে ওঁদের। এটা আসলে হতাশা। হতাশার ওষুধ একটাই। আবার হতাশা বাড়বে। কারণ ২০২৬ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা। সমস্ত মানুষ দেখেছে। সংকীর্ণ চিন্তা ভাবনা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।”
advertisement
প্রসঙ্গত, লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের মাঝে আচমকাই বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন জনাকয়েক বিক্ষোভকারী৷ ভোট পরবর্তী হিংসা, আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা৷ যদিও ঠান্ডা মাথাতেই পাল্টা পরিস্থিতি সামাল দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সৌজন্য বজায় রেখেই বিক্ষোভকারীদের জবাব দেন তিনি৷
আরও পড়ুন: গুগলে কী ‘সার্চ’ করলে আপনার ‘জেল’ হতে পারে জানেন…? শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তরে’!
প্রাথমিক ভাবে আচমকা এই বিক্ষোভে দর্শকাসনে উপস্থিত অতিথিরা হতচকিত হয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর জবাব শুনে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান তাঁরা৷ শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই নিজের বক্তব্য শেষ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের দলকে বলুন আমাদের রাজ্যে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে যাতে তাঁরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে৷’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে যখন এই ঘটনা ঘটছে, তখন দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও৷