ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই মহিলার নাম ইলা পোপট (Ila Popat)। গত শুক্রবার বিচারপতি এসভি গঙ্গাপুরওয়ালার (SV Gangapurwala) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে দায়ের করা আবেদনে তিনি জানান যে, তাঁর জন্ম হয় পূর্ব আফ্রিকার উগান্ডায়। এর পর ১৯৫৬ সালে তার মায়ের ভারতীয় পাসপোর্টের সাহায্যে তিনি প্রথমবার ভারতে এসেছিলেন। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র দশ বছর। এরও দশ বছর পরে তিনি একজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাঁর দুটি সন্তান এবং বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনিও রয়েছে। তাঁরা সকলেই ভারতীয় নাগরিক।
advertisement
এত বছর ধরে তিনি বহুবার ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু যথার্থ নথির অভাবের কারণে প্রতিবারই তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি হাই কোর্টের কাছে জানান যে, বহুবার চেষ্টার পর ২০১৮-১৯ সালে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা করার আগে তাঁর প্রথমে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা উচিত ছিল।
সেই অনুসারে ২০১৯ সালে ওই আবেদনকারী অনলাইনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু তার ভিসার ডিটেইলসে কোনও ভুল হওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে। এই বিষয় নিয়ে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে অদ্বৈত সেথনা (Advait Sethna) জানান যে, ওই ভদ্রমহিলাকে শুধুমাত্র তখনই নাগরিকত্ব দেওয়া যেতে পারে যদি তিনি তাঁর জন্মের শংসাপত্র বা তা সম্পর্কিত কোনও নথি এবং কীভাবে তিনি ভারতে এসেছিলেন তা প্রমাণ করতে পারেন বা এই সংক্রান্ত অন্য কোনও প্রয়োজনীয় নথি জমা দেন।
সেথানা আরও জানিয়েছেন যে, আবেদনকারী উগান্ডায় দূতাবাসের কাছে যেতে পারেন এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথি পেয়ে যেতে পারেন। এখনও পর্যন্ত হাই কোর্ট এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। হাই কোর্ট এই মামলার শুনানি করবে আগামী ২২ অগাস্ট।