মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের চিত্রকুট জনপদের মৌ থানাতে৷ পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে নানা মৃত ওই কিশোরী সম্পর্কে নানা তথ্য৷ জানা গিয়েছে, মৃতার নাম স্নেহা৷ ঘটনার কারণ জানতে গিয়ে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর সব তথ্য৷
২ দিন আগে বন্ধু গরিমার সঙ্গে টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হয় স্নেহার৷ মৃত যুবতী স্নেহাকে ৫০০০ টাকা ধার দিয়েছিল স্নেহা৷ কিন্তু সময়মতো টাকা ফেরত দিতে পারেনি স্নেহা৷ এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বেশ কথাকাটাকাটিও হয়৷ যার জেরে মৃত যুবতীর বন্ধু গরিমা স্নেহার বিরুদ্ধে মৌ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং শেষমেষ সবকিছু মিটমাটও হয়ে যায়৷ এরপরই অদ্ভুতভাবে নিখোঁজ হয়ে যান স্নেহা৷ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার কোনও খোঁজ পায়নি তার পরিবার পরিজনেরা৷ পুলিশ তল্লাশি চালিয়েও স্নেহার খোঁজ পায়নি৷ দু'দিন পর যমুনার পাড় থেকে উদ্ধার হয় স্নেহার দেহ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ফের রাজস্থানে গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব, কৌশলী অনশনে সচিন
স্নেহার মর্মান্তিক পরিণতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তার পরিবার৷ স্নেহার মৃতদেহ সন্দেহজনক৷ তার শরীর পুড়ে গিয়েছে৷ মৃতের শরীরে কোনও জামাকাপড় নেই৷ মৃতদেহ দেখে অনুমান করা যায়, স্নেহার ওপর অত্যাচার করেই তাকে খুন করা হয়৷ পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে৷
স্নেহার মৃত্যুর কারণ এখনও পর্যন্ত অজানা৷ তবে মৃত কিশোরীর ছোট বোন নেহা ত্রিপাঠী অভিযোগ করেছেন তার দিদি এবং তার বন্ধু গরিমার মধ্যে কিছু একটা নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর স্নেহার বাড়ির ওপর রীতিমতো চড়াও হয় গরিমা ও তার পরিবারের সদস্যরা৷ কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজও করে৷
আপাতত লাশ থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত যুবতী কোনও এক বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে যমুনা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে৷