ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটির এক কর্মকর্তা বিশ্বাস আমিন বলেন যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে রক্তদানের হার কমেছে, যার কারণে জরুরি অবস্থা এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশু, কিডনিজনিত সমস্যা-সহ অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা অসুবিধায় পড়েছেন। এই কারণে রেডক্রস সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমানে যাঁরা সুস্থ আছেন, তাঁদের রক্তদানের জন্য এগিয়ে আসার আবেদন করা হবে। এক্ষেত্রে যাঁরা কোভিড ভ্যাকসিন নেবেন, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে রক্তদানের আবেদন করা হচ্ছে। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে রক্তদান করা যায় না। ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবীরা করোনার কারণে রক্তের সঙ্কটের কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি অন্যান্য বছরে আহমেদাবাদের ব্লাডব্যাঙ্কগুলি সব চেয়ে বেশি রক্ত সংগ্রহ করে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। সেই জায়গায় এই বছর মাত্র ৫১২২ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। যা আগের দুই বছরের তুলনায় অনেক কম। তবে এই গোটা বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছে আহমেদাবাদ প্রশাসন। দিন দিন করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রেকর্ড গড়ছে। তাই দ্রুততার সঙ্গে শহরের রক্তের ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। যাতে অঘটনের আগেই সব পরিষেবার বন্দোবস্ত থাকে।
advertisement