আরও পড়ুন- দরিদ্র মানুষ দ্রৌপদী মুর্মুর থেকে অনুপ্রাণিত: শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা মোদির
দ্রৌপদী জানান রাষ্ট্রপতি পদের জন্য একজন উপজাতীয় মহিলাকে মনোনীত করার যে সিদ্ধান্ত বিজেপি নিয়েছে তা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ অউর সবকা বিশ্বাস’ স্লোগানেরই প্রতিফলন। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেডির সমর্থন পাবেন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “আমি ওড়িশা বিধানসভার সমস্ত সদস্য এবং সাংসদদের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।”
advertisement
দ্রৌপদী আরও বলেন, “আমি মাটির মেয়ে। একজন ওড়িয়া হিসাবে আমাকে সমর্থন করার জন্য সকল সদস্যকে অনুরোধ করার অধিকার আমার আছে।” সাঁওতাল সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণকারী দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৯৭ সালে রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর হিসাবে নিজের রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০০ সালে BJD-BJP সরকারের মন্ত্রী এবং পরে ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল নির্বাচিত হন।
রায়রাংপুরের প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “আমি এই সুযোগ আশা করিনি। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হওয়ার পর আমি ছয় বছরের বেশি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিইনি। আশা করি সবাই আমাকে সমর্থন করবেন।”
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু
রাষ্ট্রপতি পদের জন্য দ্রৌপদীর প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য জুড়ে এবং বিশেষ করে ময়ূরভঞ্জ জেলায় উদযাপন শুরু হয়ে যায়। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁর বাসভবনে জড়ো হন। সাঁওতালি সমর্থকরাও নিজেদের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দ্রৌপদীর বাড়ির বাইরে জড়ো হয়ে উদযাপন করেন।
বারগড়ের বিজেপি সাংসদ সুরেশ পূজারি বলেন, “এখানকার একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার দলের সিদ্ধান্তে আমরা সবাই অভিভূত। এই প্রথম মাটির মেয়ে এই পদ পাবে।” কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু বলেন, “আমি বিশেষভাবে খুশি কারণ দ্রৌপদী মুর্মু আমার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এবং আমার আদিবাসী সম্প্রদায়েরও মানুষ।”
রাজনৈতিক মহলের অন্দরের ইঙ্গিত, দেশের শীর্ষ পদের জন্য দ্রৌপদী মুর্মুর নাম প্রস্তাব করার আগে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে পরামর্শ করেছে বিজেপি।