শুক্রবার রাজ্যসভায় বগটুইয়ের নৃশংস ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আনিস খান এবং ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনার কথাও তুলে ধরেন।
কাঁদতে কাঁদতে রাজ্যসভায় রূপা বলেন, "আমরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গে রীতিমতো গণহত্যা চলছে। মানুষ রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন। বাচ্চা-বয়স্ক সবাই চলে যাচ্ছে রাজ্য ছেড়ে। পশ্চিমবঙ্গে বেঁচে থাকা দায় হয়ে উঠেছে।" বিজেপি সাংসদের সংযোজন, "পশ্চিমবঙ্গ ভারতেরই অংশ। এখানকার মানুষেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করা তো অপরাধ নয়। কিন্তু এখানে মানুষের বেঁচে থাকা ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: শনি থেকেই পুরোদমে তদন্ত, বগটুইকাণ্ডে শুক্রেই যে পথে এগোচ্ছে CBI...
রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদের আরও সংযোজন, ''বগটুইতে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এতগুলো মানুষকে। কেউ স্বাভাবিক ভাবে মারা যাননি। ওখানে বেআইনি অস্ত্র ছিল। ফরেন্সিক রিপোর্টে জানতে পারা গিয়েছে, মৃতদের হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।'' রূপা যখন রাজ্যসভায় কাঁদছেন, তখন লোকসভায় বগটুই কাণ্ড নিয়ে সরব হন আরেক বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনিও তীব্র আক্রমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে।
এদিকে, বিজেপি-র মহিলা সাংসদরা যখন বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলছেন, যখন বিধানসভায় এদিন পালটা আক্রমণ শানান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ''সাংবিধানিক সংকট তৈরির জন্য উদগ্রীব বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলার চেহারা পাল্টে দিয়েছেন, আর বিজেপি সংকট তৈরির জন্য এহেন দাবি তুলছে।''