“তিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা মন্ত্রক কেড়ে নিতে হবে। সুশান্ত চৌধুরী (তথ্যমন্ত্রী) বা আমাদের বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তীর মতো উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি আমাদের আছেন। তাঁদের মতো কাউকেই মন্ত্রিত্ব দেওয়া উচিত,” বলেন অরুণ চন্দ্র ভৌমিক। পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর দাবি রাজ্যের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার কামনাতেই এই কথা বলেছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন- "বুকে পাথর রেখে" একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে দল: মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান
“আমার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আসলে, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে অনুরোধ করেছিলেন ক্ষমা চাইতে। কিন্তু রাজ্যে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্যে আমি আমার মন্তব্যে অটল। যে ব্যক্তি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা তৈরিতে তাঁর পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন তাঁকেই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত,” বলেন তিনি।
দুই মাস আগে বিপ্লব কুমার দেবের জায়গায় ড. মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই দলের মধ্যে এই ধরনের ফাটল দেখা দেয়। রাজ্যে দুই দশক ধরে শাসন করা মার্কসবাদী সরকারকে অপসারণ করে ২০১৮ সালে আদিবাসী পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার (আইপিএফটি) সঙ্গে জোট করে বিজেপি রাজ্যে প্রথম সরকার গঠন করে। বর্তমানে, বিধানসভায় বিজেপির ৩৬ জন বিধায়ক এবং আইপিএফটির আটজন বিধায়ক রয়েছেন।
আরও পড়ুন- গোয়াতে বেআইনি বার চালান স্মৃতি ইরানির কন্যা! কংগ্রেসের অভিযোগে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী
ক্ষমতায় থাকার এক বছর পর, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। সুদীপ রায় বর্মন, গত ফেব্রুয়ারিতে অন্য আরেকজন বিধায়ক আশিস কুমার সাহার সঙ্গে মিলে কংগ্রেসে যোগ দেন। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে থেকে তাঁরা দু’জনেই ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন এবং এক বছর পরে তাঁরা গেরুয়া দলে যোগ দেন।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে, ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্য দলীয় কর্মীদের একটি বড় দল ‘বিপ্লব হটাও, ত্রিপুরা বাঁচাও’ স্লোগান তুলেছিল। সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধিদল বিপ্লব দেবের শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য দলের প্রধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে।
